রাজউক ঝিলমিল প্রকল্পের ডাটাবেজ করবে প্রতিষ্ঠানটির এমআইএস বিভাগ। তবে প্লট সংক্রান্ত লটারি করবে বুয়েট। এ দুই বিষয়ে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদনকারীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। এজন্য রাজউক তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর প্লটের আবেদন জমা নেয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরই এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হবে। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, তিন ক্যাটিগরির আড়াই কাঠা, তিন কাঠা ও পাঁচ কাঠা আয়তনের প্লট থাকছে ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে। এর আগে ২০০১ সালে ওই প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত ও বিভিন্ন ক্যাটিগরিতে প্রায় এক হাজার জনকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে প্রায় ১০ বছর পরও তাদের নামে সাময়িক বরাদ্দপত্র জারি করা হয়নি। ওই সব প্লটের মালিকরা ইতিমধ্যে তাদের অর্থ তুলে নিয়েছেন। কেউ কেউ তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ক্যাটিগরিতে ১২০০ প্লট বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। এর আগে ঝিলমিলে প্লট বরাদ্দ দিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ২০০১ ও ২০০২ সালে দু’বার আবেদনপত্র চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। তবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিসহ ইউটিলিটি সার্ভিস প্রদানে রাজউকের নিশ্চয়তা না থাকায় লোকজন এ প্রকল্পের প্রতি তেমন আগ্রহ দেখায়নি। ফলে দু’বার বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজউক বরাদ্দ দিতে পারে মাত্র ৫২৫টি প্লট। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত সময়ে প্লট বুঝে না পাওয়ায় বেশির ভাগ বরাদ্দগ্রহীতা তাদের টাকা ফেরত নিয়ে যান। এমনই অবস্থায় রাজউক প্রকল্পের ধারণাপত্র সংশোধন করে ইউটিলিটি সার্ভিসের ব্যবস্থা করলে এবং কেরানীগঞ্জের দ্রুত উন্নয়ন ও পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় ঝিলমিলের প্রতি মানুষের আগ্রহ শতগুণ বেড়ে যায়। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে কেরানীগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে রাজউকের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প এলাকা।
২০০০ সালে প্রকল্পের জন্য কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা, তেঘরিয়া ও চুনকুটিয়া মৌজার ৩৮১.১৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সেখানে বিভিন্ন আয়তনের প্লট হবে ১৬৬৫টি। এছাড়া, ২০ হাজার ২৮০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য থাকবে আলাদা জোন। সূত্র জানায়, প্রথমবার প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত। তবে নানা জটিলতায় তিন দফায় মেয়াদ বেড়ে সর্বশেষ ২০১১ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়। এর ফলে প্রকল্প ব্যয় প্রথমে যেখানে ছিল ১৩৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা, সেখানে তিন দফায় বেড়ে তা ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য থাকবে আড়াই কাঠার প্লট। তিন ও পাঁচ কাঠার প্লট দেয়া হবে সাধারণ আবেদনকারীদের মাঝে।
প্রস্তাবিত নীতিমালায় সাধারণ আবেদনকারীদের বিভিন্ন ক্যাটিগরিতে ভাগ করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজ প্রায় শেষ। পশ্চিমাংশে লেক তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই রাস্তা নির্মাণ ও প্লট বিভাজনের কাজও শুরু হবে বলে প্রকল্পের এক প্রকৌশলী জানিয়েছেন।