সাইখ সিজার৷ জন্ম ও বেড়ে ওঠা অ্যামেরিকায়৷ কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে তাঁর নাড়ির টান৷ সে কারণেই এবার লন্ডন অলিম্পিকে তিনি প্রতিনিধিত্ব করবেন বাংলাদেশকে৷ আর যে খেলায় অংশ নেবেন,তার নাম “জিমনাস্টিক্স”৷ ২১ বছর বয়সি সিজার”এর বাবা কাজি আর মা রেজিনা আশির দশকে অ্যামেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন৷ কাজি হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম সিজারিয়ান শিশু৷ তাই পরবর্তীতে তিনি নাম পরিবর্তন করে সিজার হয়ে যান৷

সেই প্রথম “সিজার”-এর ছেলেই হলেন জিমনাস্ট সাইখ সিজার৷ বর্তমানে তিনি পড়াশোনা করছেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ গত বছর ডিসেম্বরে তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠিত “সেন্ট্রাল সাউথ এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমনাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ্স”-এ বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন৷ সেখানে একটি সোনাও জিতেছিলেন তিনি৷ সেটাই ছিল জিমনাস্টিক্স”এ বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক সোনা জয়৷ সিজার”এর এই সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন লন্ডন অলিম্পিক”এর জন্য সিজারকে মনোনীত করে৷ বলা বাহুল্য,এর আগে জিমনাস্টিক্স”এ বাংলাদেশের হয়ে অলিম্পিকে কেউ অংশ নেয়নি৷

এ প্রসঙ্গে সিজার বলেন,”অলিম্পিকে অংশ নেয়ার সুযোগ পাওয়ায় আমি দারুণ খুশি৷ কেননা প্রত্যেক জিমনাস্ট”এরই স্বপ্ন থাকে অলিম্পিক”এ খেলার৷” তিনি আরো বলেন, “আমার অলিম্পিক”এ অংশ নেয়ার খবর শুনে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহপাঠী ও শিক্ষকরা আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷”

সিজার বলেন,তাঁর বাবা খুব ভালো ফুটবল খেলতেন৷ কিন্তু তিনি চাইতেন তাঁর ছেলে অন্য কোনো খেলা খেলুক৷ সাইখ সিজার”এর কথায়,তাঁর বয়স যখন ছয় তখন একদিন বাবার সঙ্গে পার্কে হাঁটার সময় একটি লিফলেট চোখে পড়ে৷ সেটাতে জিমনাস্টিক্স”এর উপর প্রশিক্ষণ সক্রান্ত তথ্য ছিল৷ “ওটা পড়ে বাবা আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আমি সেটাতে যেতে চাই কী না৷ উত্তরে সঙ্গে সঙ্গে আমি বলি অবশ্যই, কেন নয়!”
সিজার বলেন,”সেই থেকে শুরু৷ এরপর আর পিছু ফিরে তাকানো হয়নি৷ সেই থেকে আমি প্রতিদিনই জিমনাস্টিক্স নিয়ে ভাবি৷ এ বিষয়ের সব হালনাগাদ তথ্য জানার চেষ্টা করি৷”
অলিম্পিক”এর লক্ষ্য সম্পর্কে সিজার বলেন,”আমি ছয়টা ইভেন্টে অংশ নেব৷ সবকটা”তেই আমি আমার সেরাটা করার চেষ্টা করবো৷ তাতে ফলাফল যাই হবে,আমি তাতেই খুশি থাকবো৷”