লন্ডন অলিম্পিকে তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে রোনালদিনহোকে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ মানো মেনেজেস। তবে পরশু প্রকাশিত অলিম্পিকের ১৮ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াডে এ বর্ষীয়ান প্লে-মেকারকে দলে রাখেননি মেনেজেস। তবে রোনালদিনহো উপেক্ষিত হলেও চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন হাল্ক।
 
অলিম্পিক মূলত অনূর্ধ্ব ২৩ বছর বয়সী ফুটবলারদের লড়াই। তবে কোনো দল চাইলে এর চেয়ে বেশি বয়সী সর্বোচ্চ তিনজন খেলোয়াড় রাখতে পারে। এই নিয়মের মধ্যে পোর্তোর স্ট্রাইকার হাল্ক এবং দুই ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা ও রিয়াল মাদ্রিদ স্টার মার্সেলোকে রেখেছেন মেনেজেস।

প্রত্যাশিতভাবে ব্রাজিলের আক্রমণ ভাগের কেন্দ্রে আছেন তরুণ নেইমার। সঙ্গে হাল্ক ছাড়াও থাকছেন আলেক্সান্ডার পাতো এবং লিয়েন্দ্রো ড্যামিও। চূড়ান্ত দল ঘোষণার আগে গত ৯ জুন নিজেদের শেষ প্রীতিম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-৩ ম্যাচে হারে ব্রাজিল। তবে অলিম্পিকে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নই দেখছেন মেনেজেস। রিও ডি জেনিরোতে দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে ব্রাজিল কোচ বলেছেন তার টার্গেটের কথা।

তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, আর্জেন্টিনার বিপক্ষে একই ফলের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। কারণ অলিম্পিকে মেসি থাকবে না। আমাদের এমন একজন খেলোয়াড়ের মুখোমুখি হতে হবে না, যে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে বল জালে জড়াবে।’

দেশের হয়ে লন্ডন অলিম্পিকে খেলার স্বপ্নের কথা বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেন রোনালদিনহো। কিন্তু ফ্লামেঙ্গোর হয়ে খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় কপাল পোড়ে ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। অবশ্য ফ্লামেঙ্গোর হয়ে একের পর এক ব্যর্থ হওয়ার পরও রোনালদিনহোকে নিয়মিতই ব্রাজিলের হয়ে খেলার সুযোগ দিয়েছেন মেনেজেস। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। এ অবস্থায় রোনালদিনহো ছাড়াই এগিয়ে চলার নীতি নেন ব্রাজিল কোচ।

২৩ সদস্যের দলে রোনালদোকে বাদ দেওয়ার সময় মেনেজেস বলেছিলেন, ‘একজনকে দলে নিলেই ব্রাজিল ফুটবলের সমস্যার সমাধান হবে, এমনটাই মনে করেন অনেক ভক্ত; কিন্তু বিষয়টা বুঝতে হবে তাদের। সময় এসেছে নতুনদের নিয়ে কাজ করার।’

স্কোয়াড : গোলরক্ষক : রাফায়েল ক্যাব্রাল ও নেতো। ডিফেন্ডার : মার্সেলো, রাফায়েল, ডানিলো, আলেক্স সান্দ্রো, থিয়াগো সিলভা, হুয়ান ও ব্রুনো উভিনি। মিডফিল্ডার : রোমেলো, গানসো, অস্কার, সান্দ্রো ও লুকাস। ফরোয়ার্ড : নেইমার, আলেক্সান্ডার পাতো, লিয়েন্দ্রো ড্যামিও ও হাল্ক।
সূত্র- রয়টার্স