মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল সকাল থেকে আরেকটা ঔজ্জ্বল্যও ছিল। টসে জয়ের পর থেকে সেই ঔজ্জ্বল্য ছড়াচ্ছিল জিপি-বিসিবি একাডেমি দল।

 কিন্তু শুরুর ঔজ্জ্বল্য দিনশেষে অনেকটাই ম্লান। বিসিবি কাপের ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ২০৭ রানে আটকে রেখেও একাডেমি হেরে গেছে ৫৬ রানে।
নতুন কিছুতে অভ্যস্ত হতে সময় লাগে। দুই দিক থেকে নতুন বল বিসিবি কাপে সেই অনভ্যস্ততারই পরীক্ষা নিয়েছে ক্রিকেটারদের। তবে জুনায়েদের দাবি, ‘এক-দুবার ভুলে গিয়েছিলাম, নয়তো আর কোনো সমস্যা হয়নি। তবে যেহেতু বলের ঔজ্জ্বল্য সেভাবে কমছে না, বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে।’
অনভ্যস্ততার কারণেই কিনা আগে ব্যাট করতে নেমে ৯০ রানে ৪ উইকেট হারাল মাহমুদউল্লাহর ‘এ’ দল। ১৭ থেকে ২১ ওভার পর্যন্ত দ্বিতীয় বোলিং পাওয়ার প্লের সময়ে কোনো উইকেট না হারালেও রান এল মাত্র ২২। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-শামসুর রহমান বিপর্যয় ঠেকানোর লড়াইয়ে যোগ করলেন ৪৭ রান, দলের পক্ষে ওটাই সর্বোচ্চ জুটি।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ ভালো না কাটলেও শেষ ওয়ানডেতে ফিফটি পেয়েছিলেন। কাল ‘এ’ দলের ৯ উইকেটে ২০৭ রানের ইনিংসেও মাহমুদউল্লাহ ধরে রেখেছেন ধারাবাহিকতা। ৬৯ বলে ৬ চারে ৫৪ রান—তাঁর এই ইনিংসটা না হলে হয়তো একাডেমির ‘ছোট ভাই’দের কাছে লজ্জাই পেত ‘এ’ দল। মাহমুদউল্লাহর তবু আক্ষেপ আছে, ‘ব্যাটিং আরেকটু ভালো হওয়া উচিত ছিল। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে পর্যন্ত ছিলাম, শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করা উচিত ছিল।’
এখন থেকে ব্যাটিং-বোলিং দুটি পাওয়ার প্লে-ই নিতে হবে ১৬ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে। কাল যেমন ৩৬ থেকে ৪০তম ওভার পর্যন্ত নেওয়া ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ৩৩ রান করেছে ‘এ’ দল। মাহমুদউল্লাহর কাছে নতুন নিয়মের মধ্যে এটাই বেশি বেখাপ্পা লাগছে, ‘জাতীয় দলে আমরা ৪৫-৪৬ ওভার থেকে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে নিয়ে অভ্যস্ত। এখন আগেই নিতে হচ্ছে এবং ৪০ ওভারের পর ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট হাতে রাখার চিন্তাও করা লাগছে।’ লাগতেই পারে। পাওয়ার প্লে ‘যুগের’ আবির্ভাবের পর থেকে তো ৪৫ ওভারের পরই ব্যাটিং পাওয়ার প্লে নিতে অভ্যস্ত বাংলাদেশ দল!
‘এ’ দলের মতো একাডেমিও তাদের ব্যাটিং পাওয়ার প্লে নিয়েছে ৩৬তম ওভার থেকে। তবে ২০৭ রান তাড়া করতে গিয়ে ১১৪ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর একাডেমির অধিনায়ক মাহমুদুল হাসানের মনে হচ্ছিল, আগের নিয়মটাই ভালো ছিল, ‘নতুন নিয়ম না হলে আমরা হয়তো আরও পরে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে নিতাম।’
ব্যাটিং পাওয়ার প্লের ৫ ওভারে মাত্র ১৬ রান করেছে একাডেমি। উইকেট পড়েছে ২টা। অবশ্য ম্যাচ থেকে তার আগেই ছিটকে পড়েছিল তারা। ৮৭ রানে ৫ উইকেট নেই। অধিনায়ক মাহমুদুল আর সোহাগ গাজীর সপ্তম উইকেটজুটিতে এল ৩১ রান। এতে কেবল হারটাই বিলম্বিত হয়েছে।
৪০তম ওভারে মাহমুদুল (৩০) আউট। এরপর মাত্র ৬ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়েছে একাডেমি।