৯৬-র পর আবার বিশ্ব জয়ের নিশায় মত্ত লংকানরা। ২০০৭ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার হারের দুঃখটা এবার কাপ জিতেই ভুলতে চান সাঙ্গাকারা। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড ও সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে কাপ জয়ের বড় দাবিদার এখন কুমার সাঙ্গাকারার দলও। ক্রিকেট বোদ্ধাদের ধারণা, দারুণ উজ্জীবিত এ দলটিকে সামলাতে হিমশিম খেতে হবে ভারতকে। বুধবারই মুম্বাই এসে তাঁবু গেড়েছেন লংকানরা। আর বৃহস্পতিবার ঘাম ঝরিয়েছেন দলের সবাই। অনুশীলনে জয়াবর্ধনে, মুরালিধরনদের বেশ ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে। এদিক থেকে তারা ভারতের চেয়ে সুবিধা ভোগ করলেন। একদিন বেশি সময় হাতে পাওয়ায় চনমনে লংকানরা। আর ধোনির দল বৃহস্পতিবার বিমান ভ্রমণ করে মুম্বাই পৌচেছে ।ধোনিকে অবশ্য এখন ওসব নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। এখন তো তারা বিজয়ী দল। পাকিস্তান জয় তাদের আত্মবিশ্বাসের পারদটা বাড়িয়ে দিয়েছে। সমর্থকরাও প্রত্যাশার জাল বুনছেন। ১৯৮৩ ও ২০০৩-এর পর তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। ‘৮৩ সালে ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন ভারত। কপিল দেবের বীরত্বে লর্ডসে শিরোপা জিতে নেয় ভারত। ‘৮৩-র পর দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠতে ভারতের লেগেছে ২০ বছর। তৃতীয়বার ফাইনালে উঠতে সময় লাগল ৮ বছর। এবার অপেক্ষা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতার। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শনিবার লংকানদের হারাতে পারলেই অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর দু’বার বিশ্বকাপ জয়ের গৌরব অর্জন করবে ভারত। আর এশিয়ার কোনো দেশ হিসেবেও দু’বার বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়বে দলটি।তবে পিছিয়ে নেই শ্রীলঙ্কার বোলাররাও। লাসিথ মালিঙ্গা, নুয়ান কুলাসেকারা, ম্যাথিউস স্পিন সহায়ক পিচেও প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে পারেন। আর স্পিন সহায়ক পিচে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত মুত্তিয়া মুরালিধরন। সঙ্গে আছে অজান্তা মেন্ডিস ও রঙ্গনা হেরাথ। প্রয়োজনে উইকেট নিচ্ছেন দিলশানও।
সব মিলিয়ে যে দলই জিতুক। বিশ্বকাপ এবার আয়োজকদের হাতেই থাকছে।