দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে মিথ্যা ঘোষণা ও ঘোষণা অতিরিক্ত পণ্য আমদানির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা বাড়ছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমসের শুল্ক বিভাগে প্রায় ২৯৪টি শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়েছে। এসব অনিয়ম থেকে জরিমানা হিসেবে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর আগের অর্থবছরে (২০১০-১১) ২১৮টি শুল্ক ফাঁকির ঘটনা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারকদের যোগসাজশে মিথ্যা ঘোষণা ও ঘোষণা অতিরিক্ত পণ্য আমদানির ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। প্রতি মাসেই বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ছে। প্রতি মাসে ২০ থেকে ৪০টি অনিয়মের ঘটনা ধরা পড়েছে গত অর্থবছরে। ধরা পড়েনি এমন অনিয়ম ও জালিয়াতির সংখ্যাও অনেক বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানান। গত অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতেই ৩৪টি মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য আটক করে অতিরিক্ত ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। সবচেয়ে বেশি জালিয়াতি ও অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে আগস্ট মাসে। ওই মাসে ৪১টি চালান আটক করে ৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার জরিমানা আদায় করা হয়। বছরজুড়ে চলতে থাকা এসব অনিয়ম প্রসঙ্গে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার আকবর হোসেন জানান, কতিপয় কাস্টমস কর্মকর্তা, বন্দরের শেডে কর্মরত কর্মকর্তা, আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সহযোগিতায় বেনাপোলে মিথ্যা ঘোষণা ও ঘোষণাতিরিক্ত পণ্য আমদানি বেড়েই চলেছে। তবে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা বন্ধ করতে তৎপর রয়েছে শুল্ক কর্র্তৃপক্ষ। ধরা পড়লে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা, অর্থদ সহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, শুল্ক ফাঁকি বা মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানির সঙ্গে সরাসরি কতিপয় কাস্টমস কর্মকর্তা জড়িত। তাদের সম্মতি ছাড়া শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটতে পারে না। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শুধু মাল ছাড় করানোর দায়িত্ব পালন করে। শুল্ক ফাঁকি মূলত আমদানিকারক, কাস্টমস ও বন্দর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হয়ে থাকে। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আবদুল আউয়াল হাওলাদার জানান, ‘মিথ্যা ঘোষণা ও ঘোষণা অতিরিক্ত পণ্য আমদানির সঙ্গে কিছু নিরাপত্তা কর্মী জড়িত থাকতে পারে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।