হঠাৎ আলোচনায় শাহরিয়ার নাফীস। বাঁহাতি এই টেস্ট ওপেনার হঠাত্ আলোচনায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে। গুরুতর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়েও আনা হয়েছে। ভারতের ব্যাঙ্গালোরের শাফি দারাশাহ টুর্নামেন্টে শেষ হওয়ার আগে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
জাতীয় পর্যায়ের দল পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব যে স্ট্যান্ডিং কমিটির ওপর, সে ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজের ব্যাখ্যা-‘টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, শাহরিয়ার নাফীস ভালো আচরণ করেনি। মাঠে গণ্ডগোল করেছে। গালাগাল দিয়েছে। তাই টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে শেষ ম্যাচ না খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। কোচ, ম্যানেজার, হেড অব ডেলিগেশন মিলেই তা নিয়েছেন, তাকে আর খেলানো হবে না। যাকে খেলানো হবে না, তাকে দলের সঙ্গে রেখে লাভ কী? তাই তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পুরো টিম ম্যানেজমেন্টই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভারত থেকে ‘এ’ দল দেশে ফিরলে কোচ ও ম্যানেজারের রিপোর্টে প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। তার ওপরই নির্ভর করছে পরবর্তী পদক্ষেপ।’
যাকে নিয়ে এই অভিযোগ সেই শাহরিয়ার নাফীস নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করছেন। তার সোজা কথা, ‘আমি এখনও বুঝে উঠতে পারছি না, আমার দোষ কোথায়? কী অন্যায় করেছি যে, একদম মাঠের বাইরে থেকে সোজা দেশে ফেরত পাঠানো হল।’
-আপনি কিছুই করেননি? তাহলে এত বড় ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন কেন?
নাফীসের ব্যাখ্যা-হ্যাঁ করেছি। কর্নাটকের বিপক্ষে আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে হইচই করেছি। আমার প্যাডে লেগে বল পেছনে চলে যাওয়ার পরও আম্পায়ার কট বিহাইন্ড দিয়েছেন। ড্রেসিংরুমে ফিরে আমি এ ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আম্পায়ারকে গালাগালও করেছি। প্যাড ও গ্লাভস ছুড়ে ফেলেছি। কিন্তু যা করেছি সব ড্রেসিংরুমে। যা একান্তই আমার এলাকা। আমি তো আর মাঠে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারকে গালমন্দ করিনি। যেহেতু খোলা মাঠ, আমার কথাবার্তা হয়তো বাইরে শোনা গেছে। আমার দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাজে সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে ম্যাচ হারতে যাচ্ছে, অধিনায়ক হয়ে আমি হইচই করব না! এটা কি অন্যায়? সবাই করে। আমিও করেছি। এর বাইরে আর কিছুই করিনি।
যে যাই বলুক, দলের ভেতরেও কারও সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে কোচের সঙ্গে দেশে থাকতে এক দিন অন্যরকম কথাবার্তা হয়েছিল। খুলনায় একদিন হঠাত্ আমাদের বাড়তি রানিং করানোয় আমি কারণ জানতে চেয়েছিলাম কোচের কাছে। তিনি তা বাঁকা চোখে দেখলে আমার কিইবা করার আছে? তবে আমার জানা মতে, তার সঙ্গে আমি কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি এখনও সত্যিকার কারণ জানি না। দেশে ফিরে গাড়িতে বসেই ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার সাব্বির ভাইয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার আচরণ নাকি অশোভনীয়। তাই আমাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে শুনেছি আমার সাম্প্রতিক আচরণ নিয়ে কথা উঠেছে। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে জায়গা না পেয়ে আমি নাকি অন্যরকম আচরণ করছি। আমার প্রশ্ন হল, আমার আচরণে সমস্যা হলে ‘এ’ দলের অধিনায়ক করে ভারতে পাঠানো হল কেন?