তারা দোষ স্বীকার করায় সৌদি আরবের আইনানুযায়ী আদালত তাদের মৃত্যুদ- দিয়েছে। আট বাংলাদেশির প্রতি বৈষম্য করা হয়নি। সেদিন একই ধরনের অপরাধে এক সৌদি নাগরিকেরও শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।

 গতকাল ঢাকায় সৌদি দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বুশাইরি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবে আট বাংলাদেশির শিরশ্ছেদের কারণে দুই দেশের সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়বে না। আসন্ন হজ উপলক্ষে সৌদি দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশিরা সৌদিতে বসবাস করছেন। খুনের বদলে খুন, এ আইনটি তারা সবাই জানেন। আর এটা মেনেই তারা বসবাস করছেন। আল্লাহর এ আইন বাস্তবায়নে মানুষের কোন হস্তক্ষেপ খাটে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দূতাবাস এক্ষেত্রে তার দেশের নাগরিকদের বাঁচানোর চেষ্টাও করেছিল। খুন হওয়া মিসরীয় ওই নাগরিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষতিপূরণ দেয়ারও কথা বলেছিল। বাংলাদেশ ও মিসরের রাষ্ট্রদূত এ নিয়ে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ওই মিসরীয় পরিবার আট বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেননি। সৌদি আইনানুযায়ী শুধু ক্ষতিগ্রস্তের পরিবারই একজন দ-প্রাপ্তকে ক্ষমা করতে পারে। এখানে সরকারের কিছুই করার থাকে না।

প্রসঙ্গত ২০০৭ সালের এপ্রিলে একটি গুদামে ডাকাতি এবং ওই গুদামের মিসরীয় নিরাপত্তাকর্মী হুসেইন সাইদ মোহাম্মেদ আবদুল খালেককে হত্যার অভিযোগ এনে গত শুক্রবার রিয়াদে আট বাংলাদেশি শ্রমিককে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদ- কার্যকর করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।