এছাড়াও গতকাল প্রেসক্লাব ও এর আশপাশের এলাকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমি দুঃখিত, বিব্রত ও সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২৭ (৪) ধারা বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হলগুলো উদ্ধার, গ্রন্থাগার স্থাপন, পরিবহন সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামে। তারা প্রেসক্লাব ও এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৫ সালের অক্টোবরে যে আইনের বলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয় সেই আইনের ২৭(৪) ধারায় বলা হয়েছে- প্রতিষ্ঠার ৫ বছর পর সরকার অনুদান দেয়া বন্ধ করে দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। তিনি বলেন, এ আইনের ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বাড়বে। এতে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয় আছে। আমিও উদ্বিগ্ন। আমি এ বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান, অর্থ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি এ বিষয়ে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করতে পারব। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ ও মতামত দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত ও বিব্রত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে এমন আচরণ কাম্য নয়। তাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।