যশোর কোতোয়ালি থানার ওসির বিরুদ্ধে একুশে টেলিভিশনের এক সাংবাদিকের গলা চেপে ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই পুলিশ কর্মকর্তা এর আগে বিএনপির এক হরতালে স্থানীয় এক ছাত্রদল নেতার গলা চেপে ধরেন।
একুশে টেলিভিশনের যশোর জেলা প্রতিনিধি শিকদার খালিদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল জলিল ভূঁইয়ার হাতে লাঞ্ছিত হন তিনি। ওসি কোনো কথা না শুনেই আমার গলা চেপে ধরেন,” অভিযোগ করেন খালিদ।
তিনি জানান, বিকাল ৩টার দিকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য গ্রাহকদের কাছে দালালরা এক হাজার টাকা করে দাবি করলে তার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সেখানে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসানের নির্দেশে দালাল ও আনসার সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের বেদম মারপিট করতে থাকেন। এ সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের মারধরের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণের সময় উপ-পরিচালক মাসুম তাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ করেন খালিদ।
এ ঘটনার পর যশোর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকরা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে উপ-পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এক ঘণ্টা পর তিনি নিচে নেমে আসলেও গেট বন্ধ রেখে সাংবাদিকদের বাইরে দাঁড়িয়ে রেখে কথা বলেন।
এ সময় কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। তারা ধাক্কা দিয়ে সাংবাদিকদের পাসপোর্ট অফিস থেকে সরিয়ে দেন। এসময় ওসি তাকে গলা চেপে ধরেন বলে অভিযোগ করেন এই সাংবাদিক। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি আব্দুল জলিল বলেছেন, সেখানে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি।
“সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক নাকি গালিগালাজ করেছেন- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ সময় কয়েকজন এক পুলিশ সদস্যের উপর চড়াও হলে তিনি বিক্ষুব্ধ লোকদের সরিয়ে দিয়েছেন মাত্র।”
এ প্রসঙ্গে যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাসুম হাসান বলেন, “পুরো ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি কারো সঙ্গে দুর্ব্যবহার করিনি। দুর্র্ব্যবহার ও গালিগালাজের যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক।”