মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত (নিতাই)  হত্যা মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, চিকিত্সক হত্যা মামলাটি তদন্তে বনানী থানা থেকে শুক্রবার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। ওই তথ্য মোতাবেক প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সম্ভাব্য সকল কারণ সামনে রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। এরমধ্যে চুরি কিংবা ডাকাতির বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে অন্যান্য কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, নিতাই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চিকিত্সকরা সারাদেশে দু’দিনের ধর্মঘট ডেকেছেন। তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করছেন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিত্সক ও কর্মচারীরা। নিহতের স্বজন ও চিকিত্সক নেতাদের দাবি- ডা. নিতাই চন্দ্রকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও নিয়োগ নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। শিগগিরই খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন চিকিত্সক নেতারা।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আবাসিক এলাকার ডব্লিউ/২ নম্বর বাড়ির দোতলায় খুন হন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ডা. নারায়ন চন্দ্র দত্ত নিতাই। হত্যাকাণ্ডের সময় ওই বাড়ি নিচতলায় ছিলেন তার বৃদ্ধা মা মঞ্জু দত্ত ।  তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে তার ছেলে বার বার চিত্কার করেছে। বলেছে, ঘরে ডাকাত পড়েছে।  এ ঘটনায় ডা. নিতাইয়ের বাবা তড়িত্ কান্তি দত্ত বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা করেন।