জন্মাষ্টমী, জাতীয় শোক দিবস, শবে কদর, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে টানা ১২ দিন বন্ধ থাকছে বেনাপোল স্থলবন্দর। তবে ওই সময় এ বন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

বন্দর কাস্টমস ও দু’দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানান, ৮ অগাস্ট বিকেলের পর বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দর কার্যালয় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

৯ অগাস্ট জন্মাষ্টমী, ১০ ও ১১ তারিখ সাপ্তাহিক ছুটি। এরপর আবার টানা ৯দিন রয়েছে ছুটি। ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবস, ১৬ তারিখ শবে কদর, এরপর দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি। আর ১৯ থেকে ২১ অগাস্ট ঈদের ছুটি। এরপর আবার দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, জন্মাষ্টমী, জাতীয় শোক দিবস,শবে কদর ও ঈদের ছুটিতেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

এর মাঝে ১২ থেকে ১৪ অগাস্ট আমদানি-রপ্তানি চালু থাকলেও শুল্ক ও বন্দরের বেশিরভাগ কর্মকর্তা এ তিনদিন ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ায় অফিসে কর্মকা- থাকবে মন্থর।
এছাড়া ১২ অগাস্ট ভারতে সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ১৩ ও ১৪ অগাস্ট শুধু আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়াডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সি অ্যান্ড এফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারী কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে শত শত পণ্য বোঝাই ট্রাক অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, “দীর্ঘ ছুটির কারণে এসব পণ্য ভারতের পেট্রাপোল থেকে বেনাপোল বন্দরে ঢুকবে বন্ধের পর। এতে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে।”

দীর্ঘ ছুটির পর ২৪ অগাস্ট থেকে এ বেনাপোল স্থলবন্দর আবার কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে।