যোগাযোগ ও রেলপথ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,আগামী ২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যাপক উন্নতি করা হবে। তিনি বলেন গণপরিবহন হিসেবে ট্রেন সার্ভিসের সেবার মান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী যাত্রীদের রেলপথে যাতায়াত সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করার জন্য রেলওয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তিনি নির্দেশ দেন।
ঈদের সময় কোন যাত্রী বা ব্যক্তি যাতে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ না করে সে জন্যও সংশ্লিষ্টদের তিনি নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী আজ সকালে নগরীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এই নির্দেশ দেন। তিনি যাত্রীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান ও তাদের শুভযাত্রা কামনা করেন।
মন্ত্রী কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তুরাগ, অগ্নিবীণাসহ কয়েকটি ট্রেন পরিদর্শন করেন। তিনি সঠিক সময়ে ট্রেন চলাচল এবং ট্রেনের বাতি, পাখা সচল ও টয়লেটসমূহ পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেন।
সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার রেলওয়ের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এর মধ্যে রয়েছে নতুন যাত্রীবাহী কোচ, লোকোমোটিভ সংগ্রহ, রেলপথ নির্মাণ এবং ডিজেল ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডিইএমইউ) সংগ্রহ।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতে ডিইএমইউ দেশে এসে পৌঁছাবে এবং মার্চ মাস থেকে লোকোমোটিভ আসা শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রায় ১১ হাজার জনবল নিয়োগের উদ্যোগে নেওয়া হবে। এছাড়া রেলওয়ের যে সকল সম্পত্তি বেদখল রয়েছে তা উদ্ধার করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
-পি.বি.
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনে যাত্রার সময় কেউ যাতে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করতে না পারে সেজন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। নিরাপদ ট্রেনভ্রমণ আমাদের সকলের লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।