মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ডেসটিনির কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত শরিফুল ইসলাম (৪০) নামের এক ডেসটিনি কর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ‍এ ছাড়া প্রায় ১৫ জন সামান্য আহত হন।

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ও কর্মকর্তাদের নামে মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত ডেসটিনির কর্মীদের বিক্ষোভে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা  ৮৫ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে পল্টন ও শাহবাগ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে আহত শরিফুলকে দেখতে গিয়ে আটক হয়েছেন ২ জন। তারা হচ্ছেন, ইসমাইল ও এনামুল হক।

সোমবার রাতেই রাজধানী ও এর বাইরের অঞ্চল থেকে ডেসটিনির কর্র্মীরা ঢাকায় জড়ো হতে শুরু করেন।

মঙ্গলবার ভোরে কাকরাইল মোড়, প্রেস ক্লাব, পল্টন মোড়, মৌচাক, ফকিরেরপুল, তোপখানা রোড ও গুলিস্তান এলাকায় জড়ো হতে থাকেন তারা।

ডেসটিনি ডিস্ট্রিবিউটর ফোরামের আহ্বানে তারা ঢাকায় আসা শুরু করেন।  এই সংগঠনের মাধ্যমে তারা সারা দেশে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে ডেসটিনি-২০০০ লি.-এর ভোক্তা-পরিবেশক এবং ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি.-এর শেয়ারহোল্ডার ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন লিঃ-এর কর্মীরাই মূলত ডেসটিনি ডিস্ট্রিবিউটর ফোরামের সদস্য।