মুদ্রা পাচারের দুটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ডেসটিনি ২০০০ এর পাঁচ কর্মকর্তা।
এরা হলেন- ডেসটিনি ২০০০ এর সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুন-অর-রশিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিন, মো. হোসেন, মো. গোফরানুল হক, মো. সাইদ উর রহামান।
সোমবার সকালে তারা মহানগর হাকিম এরফান উল্লাহর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হক হীরু ও এহসানুল হক।
শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টানা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন না হওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পর বিদেশে পাচারের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির এই পাঁচ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্লান্টেশেন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহ করা অর্থ পাচারের ‘প্রমাণ’ পেয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলি সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।
তারা সেদিন সাংবাদিকদের জানান, ট্রি-প্লান্টেশন প্রজেক্ট থেকে ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা এবং এমএলএম অ্যাকাউন্ট থেকে ১ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা সরানোর আলামত পেয়েছেন তারা।
মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, উভয় ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত কর্মকর্তারা প্রথমে বিভিন্ন অলাভজনক, নিষ্ক্রিয় প্রতিষ্ঠানে এবং এরপর নিজেদের ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করেছেন।