গতকাল মঙ্গলবারও রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে লোডশেডিং হয়েছে সমান তালে। দিনে-রাতে পিক কিংবা অফপিক আওয়ারে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

 বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য মতে, এদিন ৫ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতের বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৯৩৭ মেগাওয়াট। এ দিন বিদ্যুতের ঘাটতি ধরা হয়েছে ৬৬৩ মেগাওয়াট এবং লোডশেডিং করা হয়েছে ৫৯৮ মেগাওয়াট। এর আগের দিন গত সোমবার লোডশেডিং করা হয়েছে ৬০১ মেগাওয়াট। ফলে দেখা যাচ্ছে, অব্যাহত লোডশেডিং কমেনি। বরং কিছুটা বেড়েছে।

 

এ দিন সারাদেশে পিক আওয়ারে অঞ্চলভিত্তিক মোট বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪ হাজার ৯৫৯ মেগাওয়াট এবং লোডশেডিং করা হয় ৫১১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদা মেটাতে লোডশেডিং করা হয় ১৪৪ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামে ৫১০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ৮৪ মেগাওয়াট, খুলনায় ৫৪০ মেগাওয়াটের বিপরীতে ৫৪ মেগাওয়াট, রাজশাহীতে ৫৬৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে ৪৮ মেগাওয়াট, কুমিল্লায় ৩৯০ মেগাওয়াটের বিপরীতে ৬৪ মেগাওয়াট, ময়মনসিংহে ২৮৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে ৫৩ মেগাওয়াট, সিলেটে ২৯৩ মেগাওয়াটের বিপরীতে ২৬ মেগাওয়াট, বরিশালে ৯৬ মেগাওয়াটের বিপরীতে ১০ মেগাওয়াট এবং রংপুরে ২৮০ মেগাওয়াটের বিপরীতে ২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের লোডশেডিং করা হয়েছে।
তবে সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানি পিডিবি বিদ্যুতের চাহিদা ৫ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ও ঘাটতি ৬৬৩ মেগাওয়াট বললেও বেসরকারিভাবে এর পরিমাণ আরো অনেক বেশি বলে ধারণা করা হয়। বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের ওপর। এই হিসাবে বিদ্যুতের

ঘাটতি প্রায় ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো। তাদের মতে, বিদ্যুতের লোডশেডিং হয় প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। এ অবস্থার পরও কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বছরের মধ্যেই বিদ্যুতের উৎপাদন ৬ হাজার মেগাওয়াট ছাড়াবে। তখন আর বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকবে না।