নিজের পিস্তলের গুলিতে মারা গেছেন নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জালাল উদ্দিন তালুকদার, যে ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ বলছে তার দল আওয়ামী লীগ।

নিজের বাড়িতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত জালালকে (৬৩) মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়। এরপর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

জালাল উদ্দিনের মাথা থেকে একটি গুলি বের করা হয়েছে, যা তার নিজের পিস্তলের বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কীভাবে তিনি গুলিবিদ্ধ হলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর নেই পুলিশের কাছে।

জালালের প্রথম স্ত্রীর ছেলে কুতুব উদ্দিন রোয়েল দাবি করেছে, তার সৎমাই তার বাবাকে হত্যা করেছে।

জালালের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের শোকবার্তায় বলা হয়েছে, জালাল উদ্দিন নিজের বাড়িতে ‘রহস্যজনকভাবে’ আহত হন। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনবারের সংসদ সদস্য জালাল দুর্গাপুরে থাকতেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা বেগম ওই বাড়িতেই থাকেন।

আয়েশা বেগমের বরাত দিয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৭টায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয় সাবেক সংসদ সদস্যকে।

অবস্থার অবনতি হলে তাকে সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জালাল তালুকদার নিজের পিস্তলের গুলিতেই মারা গেছেন।

“তার বাসা থেকে লাইসেন্স করা পিস্তলটি জব্দ করা হয়েছে। এর ভেতরে একটি গুলির খোসা ও পাঁচ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিজের পিস্তলের গুলিতেই তিনি মারা গেছেন।”