স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের বিকল্প নেই। নিরাপদ পানির অভাবে শুষ্ক মৌসুমে শতকরা ৮০ ভাগ রোগ ছড়ায়। দাতা সংস্থা, এনজিও এবং সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব।

ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে ১৭ জুলাই ২০১২ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ভূগর্ভস্থ পানি থেকে আর্সেনিক ও লবণাক্ততা দূরীকরণ প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা একথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের সুজল প্রজেক্ট ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের ১৯টি জেলার ৩২টি উপজেলার প্রায় ৮.৩২ মিলিয়ন হতদরিদ্র জনগণকে নিরাপদ পানি প্রাপ্তিতে এবং স্যানিটেশন সুবিধার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।

ঢাকা আহ্‌ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. এম. এহ্‌ছানুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডের ইন্টেরিম অ্যামব্যাসেডর ক্যারেল রিকটার এবং ইকোলজিক্যাল ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন (ইএমএফ)-এর পরিচালক ফ্রেডারিক কাজেন।

এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ওয়াটার স্যানিটেশন বিশেষজ্ঞগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য পরীক্ষামূলকভাবে ২০১১ ডিসেম্বরে বঙ্গ গ্রামের স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ক্যাপডি-১ স্থাপনের মাধ্যমে সুজল প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। বিদ্যুৎ চালিত ক্যাপডি-১ নামক যন্ত্র ভূগর্ভস্থ পানি থেকে মাত্রাতিরক্ত আর্সেনিক, লবন এবং আয়রণ দূরীভূত করে দৈনিক ২৫০০ লিটার পানি উৎপাদন করা হচ্ছে। দেশের ওয়াটার সেক্টরে এটি একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন। প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন নেদারল্যান্ডের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ভোলটিয়া।