পদ্মা সেতুর ব্যাপারে সরকারের অবস্থান চূড়ান্ত হয়নি। দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের মুখোমুখি দাঁড়াবে নাকি অন্য কোন বিকল্প পথ গ্রহণ করবে সে বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনে পদ্মা সেতু সংক্রান্ত তথ্য দেয়া হবে কি না এ ব্যাপারেও সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, পদ্মা সেতুর বিষয়টি খুব সূক্ষ্মভাবে দেখা হচ্ছে। এখানে কিছু বিষয় আছে যেসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে দুদক তদন্ত করছে, কিন্তু তাদের প্রয়োজনে কতটা তথ্য দেয়া হবে কিংবা দেয়া হবে না, সেটি এখনো ঠিক করা হয়নি। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চিত এটি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। তারা এটি একটি ধারণার ওপর করেছে। তিনি বলেন, এখনো পদ্মা সেতুর বড় ধরনের কোন কাজই শুরু হয়নি। কেবল পুনর্বাসন ও ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ দুটি কাজ যতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোন কাজে ততো স্বচ্ছতা ছিল না। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যমুনা সেতুতে শুধু চুরি হয়েছে।
তিনি বলেন, যে যাই বলুক দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ করা সম্ভব নয়। তবে বিদেশি অর্থায়নে বর্তমান সরকারের আমলেই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় বিশ্বব্যাংক তাদের ১২০ কোটি ডলার ঋণ সাহায্য দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক সাহায্য বন্ধ রাখবে বলে সাফ জানিয়ে

 ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংক ছাড়া এডিবি ৬১ কোটি, জাইকা ৪০ কোটি এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এ সেতু নির্মাণের জন্য।পদ্মা সেতুর দুর্নীতি খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন।