আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস আজ। জাতিসংঘ ঘোষিত দিনটি এ দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা হয় না। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি দীর্ঘদিন ধরে সরকারিভাবে দিসবটি পালনের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।

এবার সরকারিভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে বিধিনিষেধ আরোপ করতে বলায় বৃহস্পতিবার পার্বত্য জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হচ্ছে।

১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের ঘোষণার পর কোনো সরকারই ৯ আগস্টকে বিশ্ব আদিবাসী দিবস হিসেবে পালন করেনি। এমনকি বর্তমানে এ দিবসটি পালনের ওপর সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পাহাড় ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো আদিবাসী দিবস হিসেবেই এ দিনটি উদযাপন করছে। তারা আদিবাসী হিসেবে নিজের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাবি করছে।

এ বিষয়ে সাংস্কৃতিক কর্মী ও তথ্য অফিসার অম্লান চাকমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। জাতিসংঘের আদিবাসী নিয়ে ঘোষণার পর থেকেই সরকারের সঙ্গে আদিবাসীদের মতো পার্থক্য দেখা দিয়েছে। তবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতি জরুরি।”

সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। বাংলাদেশে আদিবাসী নেই সরকারের এমন বক্তব্যে হতাশ।

তবে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় নেতা অলকেষ চাকমা বলেন, “আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির আগে স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতি প্রয়োজন।”

এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের নেতারা বলেন, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি ষড়যন্ত্রমূলক আচরণ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক পেয়ার আহমেদ খান বলেন, “বাংলাদেশে আদিবাসী নেই। এটা ষড়যন্ত্রমূলক আচরণ। আদিবাসী স্বীকৃতি পেলে সরকারের কর্তৃত্ব বিলীন হবে। আদিবাসী দিবস উপলক্ষে তারা যেন কোনো কর্মসূচি না নেয় সে ব্যাপারে আমরা সোচ্চার থাকবো।”

তবে স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে বলে জানান রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক।