পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের গ্রাহকদের নতুন দামে বিদ্যুত্ কিনতে হবে। গতকাল থেকে বিদ্যুতের নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে। বিদ্যুত্ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিইআরসি বলছে, বিদ্যুতের নতুন দাম কার্যকর হলেও কত বাড়ানো হয়েছে তা জানতে আরও সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করতে হবে। তবে খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি আরও বলেছে, তেলভিত্তিক বিদ্যুত্ উত্পাদন বেড়ে যাওয়ায় মূল্য সমন্বয় করতে দাম বাড়ানো হচ্ছে। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে বিদ্যুতের দাম আর বাড়ানো হবে না বলেও জানিয়েছে বিইআরসি। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে ছয়বারের মতো বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য গত জুন মাসে প্রস্তাব দেয় বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড। এই প্রস্তাবে পাইকারি দাম ৫০ শতাংশ ও খুচরা দাম কোম্পানিভেদে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। ১৬ জুলাই প্রস্তাবের ওপর বিইআরসিতে গণশুনানি হয়। এরপর ২৬ জুলাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য সংবাদ সম্মেলন ডেকেও তা বাতিল করে বিইআরসি। সূত্র জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুতের বিল কাঠামো পরিবর্তন ও মার্চে দাম বাড়ানোর পর পাইকারি পর্যায়ে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুত্ বিক্রি হচ্ছে ৪ দশমিক ২ টাকায়। আর খুচরা পর্যায়ে এই বিদ্যুত্ বিক্রি হচ্ছে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিইউনিটে ৩ টাকা ৫ পয়সা, ১০০ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউনিটপ্রতি ৪ টাকা ২৯ পয়সা ও ৪০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিইউনিটে ৭ টাকা ৮৯ পয়সা হারে দিতে হচ্ছে গ্রাহককে।