বাংলাদেশ সরকার বলছে, বার্মার সাথে দেশের সীমান্ত দিয়ে এখন ইয়াবা ট্যাবলেট-সহ নানা অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্বেগজনকভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এটিকে নতুন উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় মাদক বিরোধী এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এই উদ্বেগের কথা তুলে ধরে বলেছেন, বিষয়টিতে বর্মার সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আগামী অক্টোবর মাসেই দুই দেশের মধ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ে এ ব্যাপারে একটি বৈঠক হতে পারে বলে জানা গেছে।বাংলাদেশে সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্যের অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে আলোচনার ব্যাপারে বার্মা রাজি হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন জানিয়েছেন।

প্রথমে দুই দেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পর্যায়ে একটি বৈঠক হতে পারে অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে।এ ছাড়া দেশ দুটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়েও বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার বলেছেন, ভারত থেকে ফেন্সিডিল-সহ মাদকদ্রব্য আসা বন্ধে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।ভারতের সীমান্তে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে সব ফেন্সিডিল কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা রাখছে বলে তারা মনে করছেন।কিন্তু এখন বর্মার সাথে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ব্যাপকভাবে আসার বিষয়টি বাংলাদেশের কাছে নতুন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৻মি সিকদার উল্লেখ করেছেন, ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসেবে এখন বিভিন্ন ট্যাবলেটের প্রতি ঝোঁকটা বাড়ছে বলে তাদের ধারণা।তবে মাদক বিরোধী আন্দোলনকারী বেসরকারি সংস্থা মানস-এর ড: অরূপ রতন চৌধুরী মনে করেন, ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ফেন্সিডিল আসা এখনও বন্ধ হয়নি এবং এর ব্যবহারও কমেনি।

এর পাশাপাশি বর্মার সাথে সীমান্ত দিয়ে যৌন উত্তেজক নাম দিয়ে ট্যাবলেট জাতীয় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য আসার মাত্রা বেড়েছে বলেও তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে।ড: অরূপ রতন চৌধুরি উল্লেখ করেছেন, অনেক সময়ই বাংলাদেশ মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।এমন বক্তব্য অবশ্য পুরোপুরি মানতে রাজি নন স্বরাষ্ট্রসচিব আব্দুস সোবহান সিকদার।তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে না। বাংলাদেশের ভিতরেই অবৈধ বাজারে প্রবেশের জন্য সীমান্তপথে মাদকদ্রব্য আসছে।

এর বিরুদ্ধে দেশের ভিতরেও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর অভিযান জোরদার করা হচ্ছে এবং মাদকের বিরুদ্ধে মানুষের সচেতনা সৃষ্টির বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।