বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় সিগন্যাল সেক্টরের ১৮৭ জওয়ানের রায় ঘোষণা। সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ২০ জনকে ৭ বছর কারাদ-সহ ১৮২ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। বেকসুর খালাস পেয়েছেন ৫ জন । গতকাল সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের বিজিবির উপমহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সায়ীদ খান রায় পড়ে শোনান।
গত বছরের ৬ মে এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। এতে ৩ জন আসামি দোষ স্বীকার করেন। ৭৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া আসামিরা তাদের পক্ষে ২২ জনকে সাফাই সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করেছেন।
রায়ে ২০ জনকে সর্বোচ্চ ৭ বছর এবং ৫ জনকে সর্বনিম্ন ৪ মাসের কারাদ- দেয়া হয়। এছাড়া ৩ জনকে ৬ বছর, ১৪ জনকে ৫ বছর, ২ জনকে সাড়ে ৪ বছর, ৮ জনকে ৪ বছর, ১৬ জনকে ৩ বছর, ২৪ জনকে ২ বছর, ৮ জনকে আড়াই বছর, ২০ জনকে দেড় বছর, ৩২ জনকে এক বছর এবং ৩০ জনকে ৬ মাস করে কারাদ- দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত দ-প্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে জরিমানা করেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন ল্যান্স নায়েক সিগন্যাল ইমান আলী, সুরমান আলী, আবুল কাশেম, এবিএম মুরাদ ও হেলিম মিয়া। ল্যান্স নায়েক সিগন্যাল ইমান আলী ও এবিএম মুরাদ আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে অনুকম্পা চান।
ঢাকার ১১টি ইউনিটের বিরুদ্ধে করা মামলার মধ্যে এ পর্যন্ত চারটির রায় হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকা সেক্টরের ৮৬ জনের মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ৮৪ জনের। ২ জন মারা গেছেন। ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ৬৬৬ জনের মধ্যে ৬৫৭ জন বিভিন্ন মেয়াদে দ-িত হয়েছেন। ৯ জন খালাস
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর জওয়ানদের সশস্ত্র বিদ্রোহে প্রাণ হারান অর্ধশতাধিক সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন। এরপর বিডিআর আইনে বিদ্রোহের বিচার করতে বেশ কয়েকটি আদালত গঠন করা হয়।