মেট্রোরেল রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে সংসদ ভবনের মূল নকশা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। বিমান বাহিনীর আপত্তির কারণে মেট্রো রেলের পথ পরিবর্তনের খবর সঠিক নয় বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবাহিনীর আপত্তিতে মেট্রোরেল পথের গতিপথ ঘুরছে না। এ সময় তিনি বিজয় সরণির পাশ দিয়ে মেট্রোরেল স্থাপনে না করার প্রধান ১০টি কারণ সংসদে তুলে ধরেন।

বিমান বাহিনীর আপত্তি এ নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি বাংলা দৈনিকে ‘বিমানবাহিনীর আপত্তিতে ঘুরছে মেট্রো রেলপথ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

তিনি বলেন, বিজয় সরণির পাশ দিয়ে মেট্রোরেল স্থাপন করলে বিমানবাহিনীর বিভিন্ন বিমান অবতরণের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। মেট্রোরেল বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের পাশ দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করলে নভোথিয়েটারের জন্য ব্যবহৃত উন্নত প্রযুক্তির সংবেদনশীল যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি বিজয় সরণির মধ্যবর্তী আইল্যান্ড দিয়ে যায় তাহলে ফার্মগেটের দিকে মোড় নেওয়ার সময় ২টি ব্যক্তিমালিকানাধীন ৬ তলা ভবন ভাঙতে হবে।

এছাড়া বিজয় সরণির দক্ষিণ পাশ দিয়ে গেলে আনুমানিক ৬ থেকে ৮টি ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবন ভাঙতে হবে; কিন্তু এমআরটি-৬ রুটটি খামারবাড়ি দিয়ে গেলে ১টি মাত্র সরকারি ভবন আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমআরটি-৬ রুটটি রোকেয়া সরণি হয়ে সংসদ এলাকার পূর্ব পাশের রাস্তা দিয়ে যাবে। এতে সংসদ ভবনের সৌন্দর্যও ব্যাহত হবে না।

প্রধানমন্ত্রী জানান, স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানের (এসটিপি) সুপারিশ অনুযায়ী এমআরটি লাইন-৬ বাস্তবায়নের জন্য জাইকার অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।

সংসদ ভবনের নকশার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংসদ ভবন এলাকায় ক্রিসেন্ট লেকের ওপর দিয়ে ব্রিজ তৈরি এবং মাজার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে মসজিদ ও মিউজিয়াম। এগুলো মূল নকশায় কোনো সময়ই ছিলো না।”