বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি বললে তো আপনারা রাগ করবেন। কম খান। খাবারে ভেজাল প্রসঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি ভোক্তাদের ভেজাল খাদ্য না খাওয়ার মানসিকতা তৈরিরও আহ্বান জানানখাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ সরকারের দায়িত্ব হলেও সমাজের সবাইকে তা প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে আমাদের করণীয়’ শিরোনামের এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করে ভলান্টারি কনজুমার্স ট্রেনিং অ্যাণ্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা)।
ফারুক খান বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে কাজ করছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা নৈতিকভাবে সচেতন না হলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না।কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীর জন্য ব্যবসায়ী সমাজকে খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার জন্য দায়ী করা হচ্ছে, আসলে তা ঠিক নয়।
এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে। শুধু আইন প্রয়োগ করেই এ সমস্যার সমাধান হবে না। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সরকার, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, ভোক্তা সংগঠন সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মত বিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর। খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে খাদ্যপ্রশাসন নামে একটি আলাদা বিভাগ গঠনের পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় আরো বক্তৃব্য দেন- জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হোসেন মিয়া, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ, ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক খলিলুর রহমান সজল প্রমুখ।