রমজান মাস উপলক্ষে খুচরা বাজারে ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।
বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা বাজার স্থিতিশীল করার জন্য চিনির খুচরা মূল্য ৬০ টাকা নির্ধারণ করেছিলাম, যাতে কেউ এর ওপর উঠতে না পারে। বাজার স্থিতিশীল হওয়ায় রমজানের আগে ভোক্তাদের স্বার্থে চিনির খুচরা মূল্য আরও ৫ টাকা কমানো হলো।”
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি) খোলা বাজারে প্যাকেটজাত অবস্থায় এ চিনি বিক্রি করবে বলে মন্ত্রী জানান।
এছাড়া ডিলাররা পাইকারি বাজার থেকে প্রতি মেট্রিক টন চিনি ৫০ হাজার টাকায় কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে পারবে। এতে প্রতিকেজি চিনির পাইকারি দাম পড়বে ৫০ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, “কেউ আমাদের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এর আগে ১১ জুলাই এক অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া অভিযোগ করেছিলেন, চিনির বাজার অস্থির করতে একটি চক্র সক্রিয় আছে। তবে কারা এই চক্রান্তে জড়িত, তাদের পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।
শিল্পমন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের কাছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯৫ মেট্রিক টন চিনি মজুদ ছিল যার মধ্যে এক লাখ ৬ হাজার ৭৯৬ মেট্রিক টন আমদানি করা।
বাংলাদেশে বার্ষিক চিনির চাহিদা ১৪ লাখ থেকে ১৫ লাখ মেট্রিক টন বলে তিনি জানান।
আখের অপর্যাপ্ত সরবরাহ, মূল্য বৃদ্ধি ও কারখানার পুরোনো যন্ত্রপাতির জন্য উৎপাদন খরচ বাড়ছে উল্লেখ করে দিলীপ বড়–য়া বলেন, “করপোরেশন উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে চিনি বিক্রি করে।”
“করপোরেশনের মজুদ শেষ হয়ে পড়ার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা গত দুই রমজানে চিনির বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছিল। এ বছর তারা তা করতে পারবে না”, যোগ করেন শিল্পমন্ত্রী।