বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনের মহাজোট শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।
অর্থের জন্য যদি মহাসড়কের এ দুরবস্থা হয়, তবে সে জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান জাসদ সভাপতি ইনু। অর্থমন্ত্রীর বরাদ্দ না দিলে তাকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান ইনু। তিনি বলেন, “আমরা কৈফিয়ত চাই না, ত্বরিত ব্যবস্থা চাই।”সরকারদলীয় সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মুজিবুল হক চুন্নু ও তারানা হালিমও যোগাযোগমন্ত্রীর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন। সমালোচনা করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমও।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, মহাসড়কগুলোর বর্তমান অবস্থার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত টাকা না পাওয়াই দায়ী। “আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে খারাপ রাস্তা মেরামতের চেষ্টা করছি।”
এই যখন অবস্থা তখন বৃহস্পতিবার সংসদে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেন করার কোনো খবর নেই। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চোখে দেখি না, আর পদ্মা সেতুরও খবর নেই। এ সময় উপস্থিত সংসদ সদস্যরা বক্তব্য সমর্থন করেন। মন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এরকম হলে নিশ্চয়ই কোনো মন্ত্রী পদ আঁকড়ে রাখতে না। দায়িত্ব স্বীকার করে ছেড়ে দিতেন।” বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা না করে বাইরে কথা বলায় মন্ত্রীদের সমালোচনা করেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল। অর্থমন্ত্রীকে কম কথা বলার আহ্বান জানিয়ে তোফায়েল বলেন, “শেয়ার মার্কেট দেখবে এসইসি। উনি (মুহিত) একটা কথা বললেন, আর শেয়ার মার্কেট পড়ে গেলো। ওনার এতো বেশি কথা বলার দরকার নেই।”
মন্ত্রীদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুরঞ্জিত বলেন, সব কিছুর জন্য মন্ত্রিসভা সমষ্ঠিগত ভাবে দায়ী।
বর্ষা মৌসুমে দেশের মহাসড়কগুলো নাজুক অবস্থায় পৌঁছায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংস্কারের পর তা চালু হলেও বাস বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ রুটে। এছাড়া আরো কয়েকটি বেহাল সড়ক নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে।