প্রধানমন্ত্রীকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপ্যাধায় জানান, প্রতিবেশী দুদেশের মধ্যে তিস্তা চুক্তি হোক এটা আমি চাই। তবে সমস্যা হল তিস্তা নদীতে পানি ভাগ নিয়ে। এ ব্যাপারে রাজ্যের নদী বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্রের নেতৃত্বে যে কমিটি গঠিত হয়েছে, সেই কমিটি শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় কতটা জল থাকে তা খতিয়ে দেখবে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপ্যাধায় কেন্দ্রকে তার মতামত জানাবেন বলে কথা কথা দিয়েছেন।.

তিস্তায় পানিবণ্টন ও তিনবিঘা করিডোরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে যে ‘জটিলতা’ তৈরি হয়েছিল তা নিরসনে গতকাল রোববার মনমোহন বৈঠক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বৈঠকে মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীকে সর্বতোভাবে সাহায্য করাই তার লক্ষ্য। তিনিও তিস্তা চুক্তি চান তবে পানিবণ্টন নিয়ে বিশেষ কমিটির রিপোর্টের পর মতামত জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল নয়াদিলি্লর বিজ্ঞান ভবনে মমতা জানিয়েছেন, তিস্তাসহ সমস্ত ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে তিনি আগ্রহী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আমরা সব সময় উৎসাহী। পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান ও ভালোবাসা রয়েছে। তিনি তিনবিঘা পরিদর্শন করতে আসায় ভারত গর্বিত।