বেসরকারি উদ্যোগে মোট ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার আরো দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এর মধ্যে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি কেন্দ্র হবে সৈয়দপুরে।
আর শান্তাহারে স্থাপন করা হবে ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরো একটি কেন্দ্র। সামিট গ্রুপের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগে এ দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে। স্বতন্ত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র (আইপিপি) হিসেবে ১৫ বছর মেয়াদে এ দুটি কেন্দ্রের বিল বাবদ সরকারকে ১১ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ টন আতপ ও ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাবেও অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সর্বনিম্ন দরদাতা ও যোগ্য কম্পানি হওয়ায় সামিট পাওয়ারকেই ১৫০ মেগাওয়াটের নতুন দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সামিট পাওয়ারের আরো চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। এর তিনটি বিবিয়ানায় ও একটি মদনগঞ্জে। অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভর্তুকি কমানোর চিন্তাভাবনা করছে। এ ব্যাপারে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এ নীতিমালায় দরপ্রস্তাব মূল্যায়নের কারিগরি দিকটিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে দরপ্রস্তাব খোলার পর কারিগরিভাবে অযোগ্যতার সমস্যা দেখা না দেয়। আইপিপির আওতায় সৈয়দপুরে ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রাক-যোগ্যতা যাচাইয়ে ৯টি কম্পানি অংশ নেয়। এর মধ্যে আটটি কম্পানি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কাছে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। সেগুলোর মধ্যে ছয়টি কম্পানি দরপ্রস্তাব জমা দেয়। তাদের মধ্যে সামিট গ্রুপ সর্বনিম্ন দরদাতা বিবেচিত হওয়ায় তাদের প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়। এ কেন্দ্রে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য সামিটকে পরিশোধ করতে হবে ছয় টাকা ৯৯ পয়সা। ১০৪ দশমিক ৩৪১ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ কেন্দ্র থেকে ১৫ বছরে বিদ্যুৎ কিনতে সরকার সামিটকে পরিশোধ করবে সাত হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। শান্তাহারে ৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রাক-যোগ্যতা যাচাইয়ে অংশগ্রহণকারী ১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আটটি যোগ্য বিবেচিত হয়। এর মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়। এ ক্ষেত্রেও সামিট গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সর্বনিম্ন দরদাতা বিবেচিত হয়। এ কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে সরকারের খরচ হবে ৭ দশমিক ০৬৭ টাকা। ৫২ দশমিক ২০৫৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ কেন্দ্র থেকে ১৫ বছরে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারের খরচ হবে তিন হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা।