টিকিট ছাড়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের ১৪ আগস্টের সকল আসনের টিকিট শেষ। শনিবার রাত থেকে স্টেশনে দাড়িয়েও টিকিট পাননি বেশির ভাগ যাত্রী। এ ব্যাপারে কমলাপুর রেল স্টেশনে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন। স্টেশন ম্যানেজারকে কয়েকজন ক্ষুব্ধ যাত্রী বলেন, শনিবার থেকে অপেক্ষা করেও টিকিট মিলছে না কেন? ম্যানেজার খায়রুল বাশার কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। এদিকে দুপুর ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় কমলাপুর রেল স্টেশনের টিকিট সংগ্রহকারীরা আসন না পাওয়ায়  আসন দেওয়ার দাবিতে লাইনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

১৪ তারিখে টিকিট কিনতে আসা সাফায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা ৭টা থেকে এখানে দাঁড়িয়েও তুর্ণা নিশীথা ও গোধূলীর কোনো টিকিট পাওয়া যায়নি।“

টিকিট কিনতে আসা ফৌজিয়া আক্তার বলেন, “কমলাপুর স্টেশনেই লাইনে দাঁড়িয়ে আজ সেহরী খেয়েছি। তবুও চট্টগ্রামের কোনো আসনের টিকিট মেলেনি।“

তিনি অভিযোগ করেন, তার আগে মাত্র ৪০ জন থাকলেও চট্টগ্রামের কোনো ট্রেনের আসন তিনি পাননি।

যাত্রীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানাজার খায়রুল বশীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সকলের আসন নিশ্চিত করাতো আসলে সম্ভব নয়। কারণ চাহিদার তুলনায় রেলের আসন সংখ্যা অনেক কম।“

বিভিন্ন কোটার বিষয়ে তিনি বলেন, “আসনের ক্ষেত্রে কিছু কোটা রয়েছে যেমন স্টাফ কোটা, ভিআইপি কোটা, রেগুলার কোটা। এ ছাড়াও ই-টিকেটিংয়ের জন্য ২৫ শতাংশ কোটা রয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা স্টেশনে ঈদে প্রতিদিনের বিভিন্ন আন্ত:নগর ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা ১২ হাজার ৯৪৯। এর মধ্যে ই-টিকেটিংয়ের জন্য বরাদ্দ ২৫ ভাগ, ভিআইপি আসন ৫ ভাগ, স্টাফদের জন্য মোট আসনের মধ্যে ৫ ভাগ বরাদ্দ রয়েছে।

কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা যায়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটের মহানগর গোধুলী, মহানগর প্রভাতী ও তুর্ণা নিশীথার সব আসনের টিকিট শেষ। ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের সকল রুটের ট্রেনেরও আসন শেষের পথে বলে একাধিক বুকিং সহকারী জানিয়েছেন।