শুক্রবার ভোর ৫টা ৪০ এর দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে তেলি বাজার এলাকায় একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৩ মাইক্রোবাস আরোহী এবং আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন।  যাদের প্রায় সবাই পরস্পরের আত্মীয়।
 

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আমিনুল ইসলাম জানান, হযরত শাহজালালের (র.) ওরশগামী যাত্রীদের নিয়ে লক্ষ্মীপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল বাসটি। আর মাইক্রোবাসটি সিলেট থেকে দক্ষিণ সুরমার লালপুর যাচ্ছিল। পথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হলে মাইক্রোবাসের সবাই নিহত হন।

এরা হালেন- দক্ষিণ সুরমার কামালবাজারের লালপুর এলাকার ওয়ারিস আলী (৬৫), তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৫০), ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫), বাবুলের স্ত্রী হাজেরা বেগম (২৮), বাবুলের ভাইয়ের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৩৫), পরিবারের তিন শিশু সালমান (৯), আল আমীন (১১), ফাতেমা (৭), ওয়ারিস আলীর মেয়ের জামাই আব্দুল করিম (৩৫)।

এছাড়া এ পরিবারের আত্মীয় দক্ষিণ সুরমার চৌধুরীগাঁওয়ের জামাল উদ্দীন (২৮), বিটুয়ার মুখ এলাকার রফিক মিয়া (৫০), লালাবাজারের সুফিয়া বেগম (৩০) এবং মাইক্রোবাসের চালক হিরণ মিয়াও (২৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।

সিলেটের পুলিশ কমিশনার অমূল্য ভূষণ বড়ুয়া জানান, দুর্ঘটনা রাস্তার যে পাশে ঘটেছে এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে  বোঝা যায়,  বাসটি চলছিল রং সাইড দিয়ে।  যাত্রীরাও অভিযোগ করেছেন, চালক ভালভাবে চালাচ্ছিল না।

দুর্ঘটনার পর থেকেই বাসচালক পলাতক বলে পুলিশ কমিশনার জানান।

দুর্ঘটনাকবলিত যান দুটির কারণে ভোর থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারাও উত্তেজিত হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক খান মোহাম্মদ বিলাল, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম সাবেরা খাতুন।

জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ারও আশ্বাস দেন।

পরে জেলা প্রশাসনের অনুরোধে এলাকাবাসী বেলা ১১ টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল আবার শুরু হয়।