সীমান্ত হত্যা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত৷ আর বাংলাদেশ কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেবেনা৷সীমান্তে ৩১শে অক্টোবরের পর থেকে যৌথ টহলের কাজ শুরু হবে৷বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী  বিজিবি এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫ দিনব্যাপী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে৷

বৈঠক শেষে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন এবং বিএসএফ-এর মহাপরিচালক শ্রী রমন শ্রীবাস্তব যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন৷ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা নিয়ে তার উদ্বেগের কথা জানান৷আর বিএসএফ-এর মহাপরিচালক শ্রী রমন শ্রীবাস্তব বলেন সীমান্ত হত্যা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে৷ ২০০৯ সালে ৫৫ জন, ২০১০ সালে ৩২জন এবং চলতি বছরে এপর্যন্ত ৭ জন বাংলাদেশি সীমান্তে নিহত হয়েছেন৷ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, এই হত্যাকাণ্ড শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে৷রমন শ্রীবাস্তব জানান, যৌথভাবে সীমান্ত টহল শুরুর জন্য কাজ এগোচ্ছে৷ তিনি আশা করেন, আগামী ৩১শে অক্টোবরের পর থেকে যৌথ সীমান্ত টহলের কাজ শুরু হবে৷ তবে তিনি বলেন, সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার কমে যাওয়ায় অপরাধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে৷ একারণে বিএসএফ সদস্যরা চাপের মুখে রয়েছে৷

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কোনভাবেই অপরাধীদের প্রশ্রয় দেবেনা৷ সীমান্তে চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে বিজিবি কার্যকর পদক্ষেপ নেবে৷

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এটি ৩য় দফা সীমান্ত বৈঠক৷ সামনের বছর দিল্লিতে সীমান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷