যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে এবং সড়কপথে অব্যবস্থাপনা, প্রশাসনে দুর্নীতি, অযোগ্যতার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী জনতা।

 

যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে দেশব্যাপী শহীদ মিনারগুলোতে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুপুর ১২টা থেকে এক ঘণ্টার অবস্থান ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু, ভাস্কর রাশা, প্রকৌশলী এনামুল হক, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মুনীরের ছোট ভাই আসিফ মুনীর, সাগর লোহানী প্রমুখ। অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। সমাবেশে ছাত্র, যুব, নারী, কৃষক, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সংহতি প্রকাশ করা হয়।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন রাস্তা মেরামতের আন্দোলন নয়। সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে-বিপক্ষের আন্দোলন নয় জাতীয় আন্দোলন।’
আবুল মকসুদ আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে তিন লাখেরও বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দিয়েছে। দুগ্ধপোষ্য শিশু থেকে শুরু করে শতবর্ষী সবাই এতে অন্তর্ভুক্ত। নিরাপত্তাবাহিনীর অনেক সদস্যও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। অথচ স্বাভাবিকভাবে জীবন পরিচালনা ও কথা বলার স্বাধীনতা পেতে মুক্তিযুদ্ধে মানুষ প্রাণ দিয়েছিল।’
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে যত সরকার এসেছে, দেশে লুটপাটের ব্যবস্থা চালু রেখেছে। এ ব্যবস্থা জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী জনতার অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের স্বাভাবিক মৃত্যু নিশ্চিত করতে হবে; সড়ক দুর্ঘটনা, ক্রসফায়ার, গুপ্তহত্যা,অবহেলাজনিত মৃত্যু চাই না, মন্ত্রীর সুপারিশে ২৪ হাজার লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন, অবৈধ উপায়ে যাঁরা লাইসেন্স পেয়েছেন তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে নূ্যনতম মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হতে হবে, সড়ক, নৌ ও রেলযোগাযোগ ক্ষেত্রে দুর্নীতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও গণপরিবহন ব্যবস্থায় দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ধারা ২৭৯ এবং ৩০৪বি আইনটি সংশোধন করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।