বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড, সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স এর মনোনীত ন্যাশনাল এয়ার সার্ভিস (নাস এয়ার) তাদের চূড়ান্ত ফাইট সিডিউল ১২ আগস্টে মন্ত্রণালয়ে সরবরাহ করবে। মন্ত্রণালয় সাথে সাথেই তা হজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) কে সরবরাহ করবে।
২০১২ সালের হজ সুষ্ঠু এবং নির্বিঘ্নে শেষ করতে গতকাল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। সভায় বিমান ও পর্যটন সচিব মোঃ আতাহারুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপ’র চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসেন, হজ অফিসার বজলুল হক বিশ্বাস, বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোসাদ্দেক হোসেন, হাবের সভাপতি আলহাজ জামাল উদ্দিন আহমেদসহ সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স এর প্রতিনিধি ইকরামুল হক, নাস এয়ার এর প্রতিনিধি তুশীষ ঘোষ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ২০১২ সালের হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৯৬৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ০৯ হাজার ৬০৩ জন হজে যাবেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের হজ পূর্ব ফ্লাইট আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু করে ২২ অক্টোবর শেষ করবে। এছাড়া হজ পরবর্তী ফাইট পয়লা নভেম্বর শুরু করে ২৯ নভেম্ব্বর শেষ করবে। সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স হজ পূর্ব ফ্লাইট ২১ সেপ্টেম্বর শুরু করে ২২ অক্টোবর শেষ করবে। তারা হজ পরবর্তী ফ্লাইট ৩০ অক্টোবর শুরু করে ৩০ নভেম্বর শেষ করবে।

সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট হজযাত্রীর অর্ধেক এবং সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স এবং নাস এয়ার মিলে বাকি অর্ধেক পরিবহণ করবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এসকল হজযাত্রীকে তাদের লিজকৃত একটি উড়োজাহাজ এবং নিজস্ব বহরে থাকা দু’টি ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং দুটি ডিসি-১০ উড়োজাহাজের মাধ্যমে পরিবহণ করবে। সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স এবং নাস এয়ার তাদের নিজস্ব বহরে থাকা উড়োজাহাজের মাধ্যমে হজযাত্রী পরিবহণ করবে। হজযাত্রী পরিবহণে যাতে কোনরূপ সমস্যার সৃষ্টি না হয় সে জন্য সকল এয়ারলাইন্সসমূহ প্রয়োজনীয় ব্যাকআপ উড়োজাহাজের ব্যবস্থা রাখবে।
সভায় জানান হয় যে, এ বছর প্রতি হজযাত্রী ত্রিশকেজি মালামাল (লাগেজ) এবং পাঁচকেজি ওজনের হ্যান্ড লাগেজ পরিবহণ করতে পারবেন। এর বেশি কোন মালামাল পরিবহণের অনুমতি দেয়া হবে না। সৌদি কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে হাজিপ্রতি দশলিটার পরিমাণ জমজমের পানির একটি ক্যান সরবরাহ করবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির তত্ত্বাবধানে পানির এ ক্যানগুলো সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বিমান, সৌদি এয়ারলাইন্স এবং নাস এয়ারের নিকট সরবরাহ করবে। হজযাত্রী পরিবহণকারী এয়ারলাইন্সসমূহ ফিরতি ফ্লাইটে হাজীদের দেশে ফেরার পূর্বে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে। হাজীদের দেশে ফেরার সময় এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে বিমান কর্তৃপক্ষ হাজিপ্রতি একটি করে পানির ক্যান সরবরাহ করবে।

এ বছর হজে বাংলাদেশ বিমান প্রতিদিন ১৮০০ হজযাত্রী পরিবহণ করবে। এছাড়া সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স এবং নাস এয়ার সিডিউল অনুসারে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজযাত্রী পরিবহণ করবে।
সভায় জানান হয়, এ বছর হজে প্রতিজন হজযাত্রী ৬ হাজার ৯০০ সৌদি রিয়াল সঙ্গে নিতে পারবেন। ফেরার সময় অতিরিক্ত সৌদি রিয়াল/অন্য কোন দেশের মুদ্রা থাকলে তা ঢাকা বিমানবন্দরে কাস্টম অফিসে নির্দিষ্ট ফরমে ঘোষণা দিতে হবে।