স্বামীর কবর জিয়ারতে নুহাশ পল্লীতে গেছেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
বৃহস্পতিবার সকালে মা সংসদ সদস্য তহুরা আলী, দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিত এবং এক ভাই ও ভাবীকে নিয়ে গাজীপুরে নুহাশ পল্লীতে পৌঁছান শাওন ।
নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, রাতে শাওন নুহাশ পল্লীতেই থাকছেন।
হুমায়ূনকে গত ২৪ জুলাই তার নিজের হাতে গড়া নুহাশ পল্লীতে তাকে দাফনের পর কয়েকদিন নুহাশ পল্লীতে কাটিয়ে ঢাকায় ফিরেছিলেন শাওন।
এদিকে নুহাশ পল্লীতে লেখকের ভক্ত-অনুরাগীদের আসা এক সপ্তাহ পরও থেমে নেই। মঙ্গলবার লেখকের কবর জিয়ারতে আসেন তার বাল্যকালের গৃহশিক্ষক মো. শফিকুর রহমান।
শফিক জানান, ১৯৬২ থেকে ৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামে হুমায়ূন, মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তাদের ছোট দুই বোনকে পড়িয়েছিলেন।
ওই সময় হুমায়ূনের বাবা ফয়েজুর রহমান পুলিশ বিভাগের চট্টগ্রাম সার্কেলে ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
হুমায়ূনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শফিক বলেন, “হুমায়ূনের ডাক নাম তখন ছিল বাচ্চু। খুব চঞ্চল ছিল সে। পাশাপাশি ছিল অনুসন্ধিৎসুও।”
“সেই ছোটবেলায়ই বাচ্চুর মধ্যে গল্প বলার গুণ ছিল। লেখাপড়ার সময় সে বেশিরভাগ সময় বেখেয়ালি থাকত, কেউ এলে গল্প জুড়ে দিত,” বলেন তিনি।
ফয়জুর রহমানের লেখালেখির কথাও জানতেন শফিক। “হুমায়ূন তার বাবার কাছ থেকেই লেখালেখির গুণটি পেয়েছে,” বলেন তিনি।