নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে কোথায় দাফন করা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। হুমায়ূন আহমেদের দাফন নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা গতকাল সোমবার রাতে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদ ভবন এলাকার বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখান থেকে এ বিষয়ে একটা সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছিল। 
ওই বৈঠকে হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন যোগ না দেওয়ায় তাঁর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বৈঠক করতে রাতেই তাঁরা ধানমন্ডির ‘দখিন হাওয়া’ বাসায় যান। তবে আজ মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫০ মিনিটে দখিন হাওয়ায় পারিবারিক বৈঠকটি শেষ হয়েছে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই। 
বৈঠক শেষে নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিবারের দুটি মত খুব কাছাকাছি এসেছে, তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের ভূমিকা এখানেই শেষ। আশা করা যায় রাতের মধ্যে দুই পক্ষের সমঝোতা হবে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘হুমায়ুন ভাই আমাদের খুব প্রিয় ও কাছের মানুষ। আমাদের একটু সুযোগ দিন। এখানে তীব্র আবেগের কাছে যুক্তি-তর্ক কাজ করছে না। আমরা নিঃসন্দেহে চাই না যে আমাদের ভাই বারডেম হিমাগারে শুয়ে থাকুক।’
বৈঠকে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, শাইখ সিরাজ, ফরিদুর রেজা সাগর, গোলাম কুদ্দুসসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন।
বৈঠক শেষে আবারও জাফর ইকবালসহ অন্যরা জাহাঙ্গীর কবীর নানকের বাসায় যান। সেখানে হুমায়ুন আহমেদের ছেলে নুহাশ ও তাঁর বোনেরা অপেক্ষা করছেন। রাতের মধ্যে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন জাফর ইকবাল।