রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও প্রকাশক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাদী অ্যাড. নজরুল ইসলাম।

বুধবার দুপুরে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম এবিএম নিজামুল হকের আদালতে প্রত্যাহারের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তিনি বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি খারিজ করে দেন হাকিম।

এ প্রসঙ্গে বাদীর আইনজীবী অ্যাড. মো. মইনউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, “মামলা দায়েরের পর হুমায়ূন আহমেদের ভাই ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও আহসান হাবীব তাদের পরিবারের পক্ষ এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা মামলার বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এ বিষয়ে যাতে আর কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না হয়, সেজন্য মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়।”

গত ১ আগস্ট হুমায়ূন আহমেদকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের একটি আদালতে মামলা দায়ের করেন অ্যাড. নজরুল ইসলাম।

মামলায় আফরোজ শাওন ও অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামকে আসামি করা হয়।

ফৌজদারি দ-বিধির ১২০ (খ), ৩০২, ৩০৪ (ক), ৪০৬, ৪২০ ও ৩৪ ধারায় দায়ের করা এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, অর্থ ও সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে ও পরস্পরের যোগসাজশে এ হত্যাকা- ঘটানো হয়।

মামলায় সাক্ষী করা হয়েছিল তিনজনকে। তারা হচ্ছেন- ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার দেশের বার্তা সম্পাদক, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদক এবং কবি-লেখক আবদুল হাই শিকদার।

গত ১৯ জুলাই নিউইয়র্কে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যান্সারে আক্রান্ হুমায়ূন আহমেদ অস্ত্রোপচার-পরবর্তী জীবাণু সংক্রমণে (ইনফেকশন) মারা যান। সেখানে জানাজা শেষে ২৩ জুলাই সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। পরদিন ২৪ জুলাই শাওনের ইচ্ছায় তাকে দাফন করা হয় গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে।