শুক্রবার বিকালে গণভবনে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ও বসতিতে হামলার ঘটনায় মওদুদ আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির তদন্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

মওদুদ আহমেদকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, যে লোক দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ও রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রাপ্ত- তার রিপোর্ট বাংলাদেশের মানুষের কাছে কতোটা গ্রহণযোগ্য- এটাই বড় প্রশ্ন?

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতার ২০টি নামে ২০টি অ্যাকাউন্ট। ২০টি সিগনেচার তারই। এতো বড় ফ্রড। ২০ নামে এক লোকের অ্যাকাউন্ট- সে করবে তদন্ত?

বিএনপি গঠিত ৮ সদস্যের এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা গত সপ্তাহে ঘটনাস্থল ঘুরে এসে শুক্রবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ৬৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে দাবি করা হয় কক্সবাজারের রামু-উখিয়া-টেকনাফ-পটিয়ায় সরকারের পরোক্ষ  ইন্ধনেই বৌদ্ধ বসতিতে হামলার ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে অতিদ্রুত একজন অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনেরও দাবি জানিয়েছে দলটি। রামুতে বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজলকে অভিযুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলেন তদন্ত কমিটির প্রধান মওদুদ আহমদ।

সবার প্রতি রামু ঘটনা গভীরভাবে বিশ্লেষণের আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন সকলের ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করেছি, যখন সকল ধর্মের লোকেরা যখন উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করছে তখন এটা কারো কারো পছন্দ হয়নি। গান পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। কারা এই গান পাউডার ব্যবহার করলো?

রামুতে বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে সহিংস হামলার জন্য আবারও বিএনপির সংসদ সদস্যকে দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন, যখন একটা জায়গায় এ রকম ঘটনা ঘটতে থাকে তখন একজন জনপ্রতিনিধি বাড়িতে গিয়ে ঘুমায় কী করে? এটাই বড় প্রশ্ন। এর জবাব বিএনপিকেই দিতে হবে।

বিরোধীদল অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে অভিযোগ করে তাদের মিথ্যাচার সম্পর্কে দেশবাসীকে সজাগ থাকারও আহবান জানান শেখ হাসিনা।

শ্রমিক লীগের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ওই সাক্ষাতে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ এবং শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।