চার কারণে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। ২০ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
গত ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২৪ অক্টোবর নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়ে নির্বাচন কমিশন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। এমনকি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে কোনো কারণও ব্যাখ্যা করা হয়নি। যে কারণে গত ২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে চিঠি দেয়।
ওই চিঠির জবাবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আতাউল এইচ হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না করার চারটি কারণ উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক বৈঠকে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়নি। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গেও নির্বাচন কমিশনের দ্বিপক্ষীয় কোনো আলোচনা হয়নি। আর তৃতীয় কারণ হলো একই সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, সেনা মোতায়েনের বিষয়ে পরে আলোচনা হবে। তাই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। চতুর্থ কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকারের একটি গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। যে কারণে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে কোনো প্রস্তুতি ছিল না।
এ বিষয়ে আজ দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ‘কমিশন চিঠির জবাব পেয়েছে। আসলে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মধ্যে একধরনের দূরত্ব ছিল। আমরাই শুরুতে বলেছিলাম সেনা মোতায়েন করা হবে না। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হওয়ায় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। সাধারণত সেনা মোতায়েনের আগে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আমরা বৈঠক করে থাকি। কিন্তু এবার তা হয়নি। মূলত ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রী (প্রতিরক্ষামন্ত্রী) দেশের বাইরে ছিলেন। প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার গিয়েছিলেন হজে। যে কারণে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।’