এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি খাত, প্রযুক্তিগত সেবা ও কর্মকান্ড তুলে ধরার অন্যতম বড় আয়োজন ‘ই-এশিয়া ২০১১’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। আগামী ১-৩ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির এই বড় আসর। ১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।
বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এ পর্যন্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। দেশের সবকটি জেলায় ই-সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। সারা দেশের ৪৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। বিগত দুই বছরে প্রায় তিন হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব চালু করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আমাদের এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও স্বীকৃতি দিয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ প্রযুক্তির ব্যবহারে জনগণের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে সাউথ সাউথ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। বিশ্বখ্যাত গবেষনা প্রতিষ্ঠান গার্টনার তাদের রিপোর্টে বাংলাদেশকে আউটসোর্সিং এর ৩০টি গন্তব্যের একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তরুণ ফ্রিল্যান্সারদের কাজের স্বীকৃতি হিসাবে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং-এর কাজের ক্ষেত্র ওডেস্ক ঢাকা শহরকে পছন্দের শহর তালিকার তৃতীয় নম্বরে রেখেছে।
 বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দ, দেশ ও বিদেশের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি প্রতিষ্ঠান এবং বরেণ্য আইসিটি নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ৪০০-৫০০ প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ই-এশিয়া ২০১১-এর আয়োজকের দায়িত্ব পালন করছে এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশ (এটুআই) প্রোগ্রাম ও বিভিন্ন আইসিটি এসোসিয়েশন এই কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করছে। ৩ দিনের এ আয়োজনে থাকছে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে ৩০টি সেমিনার ও কর্মশালা। পাশাপাশি এবারের প্রদর্শনীতে ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জাপান ও থাইল্যান্ড এই ৬টি দেশের প্যাভিলিয়ন থাকবে। এছাড়াও নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, নরডিক চেম্বার, অ্যানটিএফ-২ এর প্রজেক্টের স্টল থাকবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিন উদ্বোধনের পর মেলা উন্মুক্ত হবে। মেলার সাধারণ টিকেট ১০টাকা। শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে এবং অন্যনান্য পেশাজীবিরা ভিজিটিং কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে। এ আয়োজনে প্লাটিনাম স্পন্সর জিপিআইটি, গোল্ড সপন্সর হুওয়ায়ে, গোল্ড ইন্টারনেট স্পন্সর কিউবি, সিলভার স্পন্সর সিসকো, ট্র্যাক স্পন্সর স্যামসাং ও ক্যাটালিস্ট, নলেজ পার্টনার ব্র্যাক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।