বেশ কিছুদিন হল অ্যাটম বম্ব নায়িকা পাওলি দাম কেবলই নিরাশ করছিলেন তার বাঙালি ভক্তদের। যারা বুদ্ধিদীপ্ত ছবি তেমন পছন্দ করেন না, যারা কেবল পাওলির জন্যই হলগামী- তাদের জন্য কোনও ছবি সই করছিলেন না নায়িকা। এতদিনে সেই দুঃখের সময় শেষ; পাক্কা খবর- বাংলা সিনেমায় আবার ফিরছেন অভিনেত্রী পাওলি দাম। ছবির নাম ‘সুইটহার্ট’। গত ১লা আগস্ট রুবির কাছে মালা সিনহা হাউজে শ্যুট হয় সেই ছবিরই প্রথম দিনের কিছু দৃশ্য। পাওলি ছাড়াও ছবিতে অভিনয় করছেন তাপস পাল, শতাব্দী রায়, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, রজতাভ দত্ত, রাজা চট্টোপাধ্যায়, সন্তু মুখোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে। একঝাঁক হিট তারকা খচিত ‘সুইটহার্ট’ ছবির রিলিজের দিনক্ষন নির্দিষ্ট করে না জানালেও মাস কয়েকের মধ্যেই পর্দায় দেখা যাবে ছবিটি, জানিয়েছেন পরিচালক প্রদীপ সাহা।‘সুইটহার্ট’ পাওলির পুরোপুরি মশালা ছবি। একটা আইডিয়াল বক্স অফিস কাঁপান ছবি করতে যা যা মশালা লাগে, পরিচালক ঠিক সেই সেই ফোড়ন দিতে থামেননি ছবিতে। ছবির গল্পে অবশ্য নতুনত্ব কিছু নেই। সেই ‘গার্ল মিটস বয়’ গোছের স্টোরি। আর সেই এক শ্রেণীদ্বন্দ্ব- বড়লোকের মেয়ে আর গরিব ছেলের প্রেমের কাহিনি! ছবির গল্পে পাওলি অভিনীত চরিত্রটির নাম মিমি। মিমি জন্ম থেকেই যথেষ্ট স্বচ্ছল পরিবারে বড় হয়েছে; দারিদ্র্য কাকে বলে, তা সে জানে না বললেই হয়! এহেন মিমির বাড়ির সামনে দোকান দিয়ে বসে বেকার অর্জুন। পড়াশোনা করেও সে দেশের হাজার হাজার যুবকের মতো কাজ জোটাতে পারেনি; অগত্যা বাণিজ্যই তার উপার্জনের ভরসা! এর পর ফর্মুলামাফিক মিমি প্রেমে পড়ে যায় অর্জুনের। তা নিয়ে বলাই বাহুল্য, ঘোরতর অশান্তি বাধে মিমির পরিবারে। সেইসব বাধা কাটিয়ে কীভাবে কাছাকাছি এল মিমি আর অর্জুন- সেই গল্পই বলবে ‘সুইটহার্ট’, জানাচ্ছেন পরিচালক প্রদীপ সাহা। অর্জুনের চরিত্রে এই ছবিতে অভিনয় করছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। ‘এলার চার অধ্যায়’-এর পর পাওলি-ইন্দ্রনীলের এটাই একসঙ্গে দ্বিতীয় ছবি। আর নায়িকা? তিনি কী বলছেন এই ছবি নিয়ে? স্বাদ বদলের জন্য এবার ‘ সুইটহার্ট’ ছবিটা করছি; পুরোপুরি মশালা ছবি- নাচে-গানে ভরপুর! অনেকদিন হয়ে গেল এরকম কোনও ছবি করিনি। সেই শেষ করেছিলাম বাংলা বাঁচাও; বুম্বাদার বিপরীতে, জানাচ্ছেন পাওলি। কৃষ্ণেন্দু গুপ্তর সঙ্গীত-নির্দেশনায় ছবিতে থাকছে বেশ কয়েকটা চলতি সময়ের গান। ছবিটি রিলিজ হলে আর কিছু না হোক, বাংলার সুইটহার্ট পাওলির আবার রুপোলি পর্দায় জাদু ছড়াতে দেখে জমে ক্ষীর হবে বহু ফ্যানের মন- তা নিয়ে সংশয় নেই কারওরই। অন্তত প্রযোজনা সংস্থা রবিকিরণ এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও পরিচালক প্রদীপ সাহা এ ব্যাপারে শতকরা একশভাগ নিশ্চিত।