ইউরোপের ঐতিহ্যমণ্ডিত স্তম্ভ আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত। ৩২৪ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট এ টাওয়ারটির কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালের ২৮ জানুয়ারি। বিশ্ব বাণিজ্যমেলা সামনে রেখে টাওয়ারটির উদ্বোধন হয়েছিল ১৯৮৯ সালের ৩১ মার্চ। স্থপতি গুস্তাভে আইফেলের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ৪শ’ কোটি পাউন্ড। সাম্প্রতিক এক জরিপে এটি ইউরোপের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাছাড়া পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে এটি। গত বছর ৭১ লাখ লোক টাওয়ারটি পরিদর্শনে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি পর্যটক সেখানে গমন করেছেন। ডেইলি মেইল।
ফ্রান্সের সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি হিসেবে খ্যাত আইফেল টাওয়ার বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থাপনাগুলোর একটি। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১০টি স্থাপনার মধ্যে এটি একটি। প্যারিসের চ্যাম্প দ্য মারসে এটি অবস্থিত।

নতুন জরিপে দেখা গেছে, ইতালির দৃষ্টিনন্দন কোলেসিয়াম স্মৃতিসৌধের তুলনায় এর নির্মাণ ব্যয় প্রায় ছয় গুণ। কোলেসিয়াম নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৭ হাজার ২শ’ কোটি পাউন্ড। অন্যদিকে ব্রিটেনের সবচেয়ে খরুচে স্তম্ভ টাওয়ার অব লন্ডনের নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল ৫ হাজার ৬শ’ কোটি পাউন্ড।

নির্মাণ খরচের দিক থেকে শীর্ষে থাকা অন্য স্তম্ভগুলো হচ্ছে-বার্সেলোনার সেগ্রাদি ফ্যামিলিয়া ক্যাথিড্রাল, যা নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ১শ’ কোটি পাউন্ড। ইতালির ডোমে ক্যাথিড্রালের নির্মাণ ব্যয় ৬ হাজার ৫শ’ পাউন্ড। মাদ্রিদের প্রাদো মিউজিয়াম তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪ হাজার ৬শ’ কোটি পাউন্ড।

অন্যদিকে ব্রিটেনের স্টোনহ্যাঞ্জ নির্মাণে খরচ হয় ৮শ’ ৩০ কোটি পাউন্ড। সম্প্রতি ইতালির মোনজা এবং ব্রিয়ানা চেম্বার অব কমার্স স্তম্ভগুলোর ছবি দেখে ও নির্মাণকাজের মান যাচাই করে এগুলোর অর্থনৈতিক মূল্যমান নির্ধারণ করেছে।