জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার সকালে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা জন এফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক আগমন উপলক্ষে ভোররাত থেকেই বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী বিমানবন্দরে অবস্থান নেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকেও দলীয় নেতা-কর্মীদের সমাগম ঘটে বিমানবন্দরে। দলীয় নেত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তাঁরা থেমে থেমে স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমনপীড়নের প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি ও সমমনাদের একটি দলকে বিমানবন্দরে বিক্ষোভ জানাতে দেখা যায়। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি স্লোগানে বিমানবন্দরে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনভ্যস্ত বিদেশি লোকজন উত্কণ্ঠা নিয়ে বিষয়টির খোঁজখবর নেন। নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত কর্মীদের পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিদ্দিকুর রহমান, সাজ্জাদুর রহমান, নিজাম চৌধুরী, শামসুদ্দিন আজাদ, প্রদীপ রঞ্জন করসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ ছাড়া বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন আবদুল লতিফ, জিল্লুর রহমান, গিয়াস আহমেদ, আখতার হোসেন, বেলাল মাহমুদ প্রমুখ। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল মোমেনসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে পৌঁছান। সফরকালে তিনি এ হোটেলেই অবস্থান করবেন। সফরকালে শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা ও জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন আয়োজিত বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও সংবর্ধনা সভায় যোগ দেবেন। তিনি নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা সভায় অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৭ সেপ্টেম্বর রুজভেল্ট হাউসে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আয়োজিত অটিজমবিষয়ক এক বৈঠকেও যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন। আগামী ২ অক্টোবর সকালে তাঁর ঢাকায় পৌঁছার কথা।