পাকিস্তানের করাচিতে সহিংসতা বন্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শনিবার রাতে আরও ৭ জন নিহত হয়।জাতিগত ও রাজনৈতিক দাঙ্গায় জর্জরিত বাণিজ্যিক এ শহরটিতে গত পাঁচ দিনে প্রায় ৮৭ জনের মৃত্যু হলো।

প্রায় প্রতিদিনই করাচিতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ছে। শনিবারের নিহতদের মৃতদেহ করাচির বিভিন্ন এলাকায় খুঁজে পায় স্থানীয়রা। ওরাঙ্গি এলাকা থেকে পুলিশ উদ্ধার করে দুটি মৃতদেহ। গার্ডেন এলাকার বাসিন্দা রিজওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় পাক কলোনি থেকে। তাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। শনিবার সকালে রিজওয়ানের পরিবার তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল। তার পরিবারের অভিযোগ অপহরণকারীরা তাদের জানিয়েছিল, উর্দুভাষী হওয়ার কারণে রিজওয়ানকে জীবন দিয়ে শাস্তিভোগ করতে হবে। এ ছাড়া মেহমুদাবাদে দুটি শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। শনিবার রাতে তাদের হত্যা করা হয়। তবে এতে কারা জড়িত তা জানা যায়নি।
পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচি বরাবরই দাঙ্গা সহিংসতার জন্য কুখ্যাত। তবে এ বছর সবচেয়ে জঘন্য চিত্রটি দেখতে পাচ্ছে পাকিস্তান। মুত্তাহিদা কওমি আন্দোলনের (এমকিউএম) প্রতিনিধিত্বকারী উর্দুভাষী মোহাজির ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) অধিভুক্ত পশতুন অভিবাসীর মধ্যে জাতিগত উত্তেজনার জেরে এসব দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। এ দল দুটি সেখানে নিয়মিতই এ ধরনের দাঙ্গায় লিপ্ত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা করা যায় না কারণ শীর্ষ নেতারাই খুনিদের সমর্থন দিয়ে থাকেন। পাকিস্তানের বৃহত্তম এ নগরীতে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আফগানিস্তানে যুদ্ধরত সৈন্যদের কাছে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পাঠাতে ন্যাটো বাহিনী এ নগরী ব্যবহার করে থাকে।

 

খবর ডন অনলাইনের