পাকিস্তানের প্রভাবশালী জেনারেলদেরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

শুক্রবার এক মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে আদেশ দেন।

রায়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক সরকার গঠন বা উৎখাতের জন্য এ ধরনের সংস্থা রাজনীতি বা রাজনৈতিক কর্মকা-ে ভূমিকা রাখতে পারে না।” “কোনো রাজনৈতিক দল, কয়েকটি দলের রাজনৈতিক জোটবা ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনীতিবিদকে সফলতা পাইয়ে দেয়ার জন্য তারা কোনোভাবেই আনুকুল্য দেখাতে পারে না।”

এ আদেশের ফলে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিপুল ক্ষমতা কমবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে এ পদক্ষেপে সুপ্রিম কোর্ট এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যেদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারেবলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

পাকিস্তানের ৬৫ বছরের ইতিহাসে অর্ধেকেরও বেশি সময় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বা পর্দার অন্তরালে থেকে দেশ শাসন করেছে সামরিক বাহিনী।

তালেবান জঙ্গি তৎপরতা, নড়বড়ে অর্থনীতি নিয়ে জর্জরিত পাকিস্তানে বিচার বিভাগ এবং সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিনের টানা-পোড়েন অস্থিতিশীলতাসৃষ্টি করেছে।

১৯৮০ এর দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই -এর বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক সেল গঠনের অভিযোগ উঠেছিল।

সুপ্রিম কোর্টের রুলিংয়ে বলা হয়েছে, আইএসআই বা সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কোনো নির্বাচনী বা রাজনৈতিক সেল অথবা তাদের আওতায় থাকা এ ধরনের কোনো কাঠামো অবিলম্বে বিলুপ্ত করা হবে। কারণ, তাদের কর্মকা- পাকিস্তান এবং দেশটির সশস্ত্র বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য দুর্নাম বয়ে এনেছে।