বিশ্ব বাণিজ্য খাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনৈতিকতা এবং ব্যাংকগুলোকে একতরফা সুবিধা দেওয়ার প্রতিবাদে আজ দেশে দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে৷ নিউজিল্যান্ড থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলো পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে এর ঢেউ৷

আর্থিক মন্দায় পড়া ব্যাংকগুলোকে তোলার জন্য এখন পর্যন্ত ইউরোপ আমেরিকার সরকারগুলো কোটি কোটি ডলার ঢেলেছে৷ কিন্তু পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না৷ তার ওপর ইউরোপের একের পর এক দেশ আর্থিক মন্দায় পড়ার কারণে আবারও বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ফিরে আসার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ মন্দার কারণে গত দুই বছরে গোটা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন৷ কিন্তু সরকারগুলো তাদের কথা চিন্তা না করে কেবল বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকগুলোকে রক্ষাতেই ব্যস্ত৷ ফলে ক্রমেই বিক্ষোভ দানা বেধে উঠছে এসব দেশে৷

গত মে মাসে এই বিক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে, স্পেনের মাদ্রিদে৷ সেখানে হাজার হাজার তরুণ বর্তমান পুঁজিবাদী আর্থিক নিয়ম নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামে৷ সেই ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে দেশে দেশে যা সবশেষে পৌছায় বর্তমান বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার নাভীমূল নিউ ইয়র্কের ওয়ালস্ট্রিটে৷ গত মাস থেকে প্রতিবাদকারীরা সেখানে অকুপাই বা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে৷ তাদের আহ্বানে আজ গোটা বিশ্বের কয়েকশ শহরে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷

ইতিমধ্যে সিডনি, টোকিও, হংকং এর মত শহরে বিক্ষোভ হয়েছে৷ ইউরোপের লন্ডন, বার্লিন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, প্যারিস এবং রোমের মত শহরে হাজার হাজার মানুষ বর্তমান সরকারগুলোর আর্থিক নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে৷ বিশেষ করে ইটালির রোমের প্রতিবাদ ছিল দেখার মত৷ অন্তত এক লক্ষ মানুষ গোটা দেশ থেকে এসে এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে যাদের বেশিরভাগই ছিল তরুণ তরুণী৷ এক পর্যায়ে এই বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করে৷ লন্ডনে বিক্ষোভ চলাকালে অন্তত কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ বর্তমান বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে এই সব বিক্ষোভ একটি বড় প্রতিবাদ হয়ে উঠেছে৷

এই অবস্থাতেই আজ প্যারিসে বৈঠক করেছেন শিল্পোন্নত ও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংগঠন জি টোয়েন্টি-র অর্থমন্ত্রীরা৷ তারা ইউরোপের সম্ভাব্য আর্থিক মন্দা ঠেকানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন কী করছে তা জানতে চেয়েছেন৷ এখন পর্যন্ত ইইউ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে জি টোয়েন্টি৷