ভারতের রাজস্থান রাজ্যে প্রবল মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য সেনা বাহিনীকে কাজে নামানো হয়েছে।

বন্যার পানিতে ডুবে, বজ্রপাতে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে এবং বাড়িধসে পড়াসহ বিভিন্ন কারণে প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

চুরুতে দেয়াল ধসে চাপা পড়ে এক বয়ষ্ক দম্পতি মারা গেছে। সোয়াইমাধবপুরে দু’জন এবং ভারতপুরে একজন ও আজমিরে একজন নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

শিকড়, চুরু, ঝুনঝুনু, দোলপুর, ভারতপুর, কারোলি এবং দাউসার বন্যাকবলিত নিচু এলাকাগুলোয় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। প্রাদেশিক রাজধানী জয়পুরের নিচু এলাকাগুলোতেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

শহরগুলোর অনেক কলোনিতে পানি ঢুকে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ ত্রাণ শিবির কিংবা অন্যান্য নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।

জয়পুর ও শিকড় জেলায় সেনা বাহিনী ত্রাণ তৎপরতায় নিয়োজিত হয়েছে। প্রতিরক্ষা মুখপাত্র এসডি গোস্বামি এ কথা জানিয়েছেন।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেলত এই দুর্যোগে প্রত্যের নিহতের পরিবারকে দেড় থেকে ২ লাখ রুপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার থেকে টানা মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরসহ আশপাশের জেলাগুলোর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

রাজস্থানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ১৯৮১ সালের পর এবারই জয়পুরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরফলে শহরটির নিচু অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।

বন্যার কারণে অনেকে ঘর-বাড়ির চালে ও ছাদে আশ্রয় নিয়েছে। রাজস্থানের আধাসামরিক বাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা বন্যায় আটকেপড়াদের উদ্ধার করার কাজ শুরু করেছে।

চলতি বছরের জুনে আসাম প্রদেশে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে অন্ততপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়। বন্যার কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।

বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে রাজধানী জয়পুরে ১০ জন, শিকড়ে ৪ জন, বালিওয়ার ও চুরুতে ৬ জন, ভারতপুরম, দুসা, সোয়াইমাধবপুর, আলওয়ার, দোলপুরে ১০ জন, টঙ্ক, ঝুনঝুনি ও আজমিরে ৩ জন মারা গেছে। এদের মধ্যে ২৩ জনেরই পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় উত্তরখন্ড প্রদেশে ঝড়ো বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধসে অন্ততপক্ষে ৩৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়।