পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনী নেভি সিলের সদস্যরা যখন অভিযানের শেষ পর্যায়ে আল কায়দাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনের রুমে ঢুকে পড়েন তখন তাকে তারা শুধু নিরস্ত্র নয় মৃত অবস্থায়ও দেখতে পান। নেভি সিলের এক সদস্য তার আত্মজীবনীতে এ দাবি করেছেন। মার্ক ওয়েন নামে নেভি সিলের ওই সদস্য তার ‘নো ইজি ডে’ বইয়ে এ দাবি করেছেন। ডেইলি মেইল।


মার্ক ওয়েন তার বইয়ে বলেছেন, নেভি সিলের ছয় সদস্য সিঁড়ি দিয়ে গুলি করতে করতে বাড়িটির তিন তলায় উঠতে থাকেন। এলিট স্কোয়াডের এ সদস্যরা মূলত বিন লাদেনের রুম লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকেন। পরে যখন তারা বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসীর রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তখন তারা তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সে সময় মেঝেতে তাজা রক্ত পড়ে ছিল। রুমে ঢোকার একটু আগেই এই সন্ত্রাসী তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ সময় তার রুমে দুটি বন্দুক পড়ে ছিল। কিন্তু সেগুলোতে গুলি লোড করা ছিল না।

মার্ক ওয়েন তার বইয়ে আরও বলেন, জীবনের এ শেষ দিনটিতে বিন লাদেন একটি সাদা টি-শার্ট ও ঢিলেঢালা প্যান্ট পরেছিলেন। মার্ক ওয়েন খানিকটা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, যে মানুষটি সারা জীবন বিশ্বের সব শান্তিপ্রিয় মানুষের আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন, শত শত অনুসারীকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা দিয়েছেন, টুইন টাওয়ার হামলার মতো বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার নেপথ্যের মূল ব্যক্তি ছিলেন, সেই তিনিই কি না তার জীবনের শেষ দিনটিতে নিজেকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টাই করেননি।

অথচ নেভি সিলের সদস্যরা তার তরফ থেকে প্রবল প্রতিরোধ হবেন বলে মনে করেছিলেন। মার্ক ওয়েন নিজেও ওই ছয় সদস্যের একজন ছিলেন। ওয়েন তার বইয়ে বিন লাদেনের মৃত্যু নিয়ে অন্য সব মতামতকে নাকচ করে দেন। এর আগে সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, নেভি সিলের সদস্যরা বিন লাদেনের রুমে ঢুকে তাকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। এক পর্যায়ে সদস্যরা তাকে রুমেই গুলি করে হত্যা করেন।  কিন্তু ওয়েন বলেন, রুমে ঢোকার আগেই তার রুম লক্ষ্য করে যে গুলি চালানো হয় তাতেই বিন লাদেনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।