লিবিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন আব্দেল রহিম আল-কিব৷ সোমবার রাতে ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল বা এনটিসি’র সদস্যদের ভোটে জয়ী হন তিনি৷ এদিকে, লিবিয়া থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের৷

আব্দেল রহিম আল-কিব লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির বাসিন্দা৷ তিনি একজন শিক্ষাবিদ এবং ধনী ব্যবসায়ী৷ মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায়, কিব’কে দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটাতে হয়েছে৷ তবে গাদ্দাফিকে উৎখাত আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন তিনি৷ সোমবার রাতে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী প্রশাসন এনটিসি আব্দেল রহিম আল-কিব’কে প্রধামন্ত্রী নির্বাচিত করে৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিবিয়ায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাকে অন্যতম দায়িত্ব হিসেবে মনে করছেন কিব৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, আমরা এমন একটি জাতি গড়তে যাচ্ছি যারা মানবাধিকারকে সম্মান করবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকে বরদাস্ত করবে না৷ তবে এজন্য আমাদের সময়ের প্রয়োজন”৷ কিব অর্ন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিব্রিল’এর স্থলাভিষিক্ত হলেন৷ গত ২০ অক্টোবর গাদ্দাফির মৃত্যুর পর পদত্যাগ করেন জিব্রিল

এদিকে, ক্ষমতায় থাকাকালীন মুয়াম্মার গাদ্দাফি যেসব অস্ত্র জমা করেছিলেন, সেগুলোর ভাগ্যে কি ঘটছে – তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ৷ শোনা যাচ্ছে লিবিয়া এবং সেদেশের প্রতিবেশিদেরকে এই বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পরিষদ৷ বিশেষ করে বিধ্বংসী এসব অস্ত্র যাতে সন্ত্রাসী, চরমপন্থীদের কাছে না পৌঁছায় – সেই ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতিসংঘ৷ আল-কায়েদা এবং অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছে এসব অস্ত্র পৌঁছালে তা বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে৷ ধারণা করা হচ্ছে, গাদ্দাফির ভাণ্ডারে এমন কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছিল যেগুলো ভূমি থেকে যাত্রীবাহী বিমানে আঘাত সক্ষম৷ জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে এধরনের অস্ত্র পৌঁছালে তার পরিনাম ভয়াবহ হতে পারে৷ এছাড়া, লিবিয়ায় থাকা রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতে সেদেশের নতুন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷