লিবিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে যুদ্ধকালীন বিদ্রোহী প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিব্রিল এগিয়ে রয়েছেন। সোমবার প্রকাশিত আংশিক ফলাফলে তার নেতৃত্বাধীন জোট ইসলামিক দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে ছিল।

তবে জিব্রিল তার বহুদলীয় জোটকে ধর্মনিরপেক্ষ বা উদারবাদী বলতে নারাজ। তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী ইসলামি শরীয়া প্রভাবিত বলে দাবী করেছেন তিনি।

শনিবার ৬০ বছর পর লিবিয়ায় প্রথম অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনকে গাদ্দাফির ক্ষমতাচ্যুতির পর গণতন্ত্রের পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

নির্বাচন চলাকালে সহিংসতায় দুই ব্যক্তি নিহত হলেও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে মত দিয়েছেন।

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি সংলগ্ন জানযুর এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় জ্লিতান, মিসালাতা, তারহুনা ও খমসের ৭৫ ভাগ ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, এই এলাকগুলোতে জিব্রিলের ন্যাশনাল ফোর্সেস অ্যালায়ান্স (এনএফএ) বিশাল বিজয়ের দিকে এগিয়ে চলছে।

অপরদিকে, লিবিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর মিসরাতায় গাদ্দাফির এক পুরনো শত্র“র নেতৃত্বাধীন দল ‘দি ইউনিয়ন ফর দ্যা হোমল্যান্ড’ জয়ের পথে রয়েছে।

নির্বাচন পূর্ব ধারণা মতো আন্তর্জাতিক ইসলামি সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের লিবিয়া শাখা ‘দ্য জাস্টিস এন্ড কন্সট্রাকশন পার্টি’ বা ইসলামি গোষ্ঠি ‘আল ওয়াতানা’ তেমন সুবিধা করতে পারেনি।

নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল থেকে ধারণা করা হচ্ছে, জিব্রিলই লিবিয়ার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।

তবে বিশ্লেষকরা এই জানিয়ে সতর্ক করেছেন, নতুন পার্লামেন্টের ২শ’ আসনের মধ্যে মাত্র ৮০টি আসন রাজনৈতিক দলগুলো জন্য বরাদ্দ, আর ১২০ টি আসন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য।

এই নির্বাচনের মাধ্যমে ২শ’ সদস্যের একটি জাতীয় পরিষদ গঠন করা হবে। এই পরিষদ একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে, যার নেতৃত্বে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করা হবে। জাতীয় পরিষদের মাধ্যমে একটি সংবিধান প্রণয়ন করে আগামী বছর একটি পূর্ণাঙ্গ পার্লামেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে অস্থায়ী সরকার।